রাজনীতি

তত্ত্বাবধায়ক সরকার চাই না: জিএম কাদের

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সংসদের বিরোধীদলীয় উপনেতা জিএম কাদের বলেছেন, দেশের প্রতিটি সরকার ক্ষমতায় থেকে নির্বাচন করার চেষ্টা করেছিল। এ সরকারও করতে চাচ্ছে। ক্ষমতায় থেকে সুষ্ঠু নির্বাচন করা সম্ভব না। আমরা তত্ত্বাবধায়ক সরকার চাই না কিন্তু এর বিকল্প পদ্ধতি চাই।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সবচেয়ে আমাদের বেশি ক্ষতি করেছে। তবে জাতীয় পার্টি এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী হয়েছে।

রোববার বিকালে নগরীর সেন্ট্রাল রোডের দলীয় কার্যালয়ে রংপুর বিভাগীয় প্রতিনিধি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বিরোধীদলীয় উপনেতা বলেন, সরকার ও তত্ত্বাবধায়ক সরকার এই দুই মাধ্যমের বাইরে এমন একটা পদ্ধতি খুঁজতে হবে- যে পদ্ধতিতে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করা সম্ভব।

তিনি বলেন, সরকার বাইরে গণতন্ত্র ও ভেতরে বাকশাল পদ্ধতিতে দেশ পরিচালনা করছে। এরশাদ ছিলেন জনগণের পক্ষে কথা বলার, জনগণ যা চেয়েছে, তাই করেছে। এরকম লোক বাংলাদেশের রাজনীতিতে কমই আছে। এরশাদ কখনো জনগণের কথার বাইরে যাননি। ওনাকে বলা হয় উনি নাকি অনির্বাচিত। এরশাদ কোনো দিন, কোনো নির্বাচনে পরাজিত হননি। সরকারে থাকুক, সরকারের বাইরে থাকুক ও জেলে থাকুক, রংপুর থেকে করুক আর ঢাকা থেকে করুক, উনি কোনো দিন নির্বাচনে পরাজিত হননি। তাকে কিনা বলা হয় অনির্বাচিত। যারা বলছেন তারা কয়বার নির্বাচিত হয়েছেন, আর এরশাদ কয়বার ফেল করেছেন। তার হিসাব করে তারপর বলেন অনির্বাচিত।

তিনি আরও বলেন, জাতীয় পার্টি সংগঠিত করতে তৃণমূল পর্যায়ে দলকে এগিয়ে নিতে হবে। পল্লীবন্ধু সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির সাবেক চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে হলে নেতাকর্মীদের সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী হতে হবে। ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। জনগণের কল্যাণে আরও বেশি করে কাজ করতে হবে।

জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য, রংপুর জেলা আহ্বায়ক ও মহানগর সভাপতি ও রংপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিভাগীয় প্রতিনিধি সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান ও রংপুর মহানগর সাধারণ সম্পাদক এসএম ইয়াসির।

জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও রংপুর জেলার সদস্য সচিব হাজি আব্দুর রাজ্জাকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত প্রতিনিধি সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও গাইবান্ধার সাবেক এমপি আব্দুর রশিদ সরকার, কুড়িগ্রামের সাবেক এমপি মোস্তাফিজার রহমান মোস্তা, জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান ও সৈয়দপুর-কিশোরগঞ্জ আসনের সংসদ সদস্য মো. আদিলুর রহমান আদেল, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও বোচাগঞ্জ উপজেলার চেয়ারম্যান জুলফিকার আলী।

এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন- দিনাজপুর জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক আহমেদ শফি রুবেল, লালমনিরহাট জেলা জাতীয় পার্টির সদস্য সচিব সারোয়ার হোসেন শাহিন, ঠাকুরগাঁও জেলা জাতীয় পার্টির রেজাউল রাজি স্বপন চৌধুরী, নীলফামারী জেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক ও সাবেক এমপি এন কে আলম চৌধুরী, জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় সদস্য ও রংপুর মহানগর সহ-সভাপতি মো. লোকমান হোসেন, সহ-সভাপতি জাহেদুল ইসলাম, জাতীয় পার্টি সদর উপজেলা আহ্বায়ক কমিটির আহ্বায়ক মো. মাসুদ নবী মুন্না, জাতীয় পার্টি রংপুর জেলার যুগ্ম আহ্বায়ক রুহুল আমীন লিটন, জাতীয় যুব সংহতি রংপুর জেলার সভাপতি মো. হাসানুজ্জামান নাজিম, কেন্দ্রীয় সদস্য সোলায়মান সামি, আব্দুর রহিম বাবলু, জাতীয় যুব সংহতি রংপুর মহানগর সভাপতি শাহিন হোসেন জাকির, জাতীয় ছাত্রসমাজ রংপুর মহানগর সভাপতি ইয়াসির আরাফাত আসিফ, জাতীয় ছাত্রসমাজ রংপুর জেলার আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম, জাতীয় স্বেচ্ছাসেবক পার্টি রংপুর জেলার আহ্বায়ক নাজমুল হুদা লাবলু, জাতীয় শ্রমিক পার্টি রংপুর মহানগর সভাপতি রাজু আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক মজাহারুল ইসলাম মন্টু প্রমুখ।

এ সময় রংপুর বিভাগের সাত জেলাসহ রংপুর জেলা ও মহানগর জাতীয় পার্টি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *