জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জোবায়দা রহমানের সম্পদ ক্রোকের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. আসাদুজ্জামান এ আদেশ দেন। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সাংবাদিকদের মোশাররফ হোসেন বলেন, দুদকের মামলায় তারেক ও তার স্ত্রী জোবায়দার বিরুদ্ধে ১ নভেম্বর গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আদেশ দিয়েছিলেন আদালত। সম্প্রতি আদালতে প্রতিবেদন এসেছে- তারেক ও তার স্ত্রী পলাতক। এ নিয়ে আদালত ফৌজদারি কার্যবিধি অনুযায়ী পলাতক আসামির সম্পদ ক্রোকের আদেশ দেন। ১৯ জানুয়ারি মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছেন আদালত।
আদালত সূত্র জানায়, সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর তারেক, জোবায়দা ও জোবায়দার মা সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানুর বিরুদ্ধে রাজধানীর কাফরুল থানায় মামলা করে দুদক। পরের বছর তাদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।
অপরদিকে মামলাটি বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেছেন জোবায়দা রহমান। চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০১৭ সালের ১২ এপ্রিল হাইকোর্ট জোবায়দার আবেদন খারিজ করে রায় দেন। মামলায় আট সপ্তাহের মধ্যে জোবায়দাকে বিচারিক আদালতে উপস্থিত হতে নির্দেশ দেওয়া হয়। হাইকোর্টের এ রায়ের বিরুদ্ধে একই বছর লিভ টু আপিল করেন জোবায়দা। সেটিও গত বছরের ১৩ এপ্রিল খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ। এরপর বিচারিক আদালতে বিচার শুরু হয়।
একুশে আগস্ট আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলা ও দুর্নীতির মামলায় কারাদণ্ডিত তারেক রহমান এক যুগের বেশি সময় ধরে পরিবার নিয়ে যুক্তরাজ্যে অবস্থান করছেন। তাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে বিভিন্ন সময় সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে।
অপরদিকে বিএনপির নেতাদের অভিযোগ, রাজনীতি থেকে দূরে রাখতেই তারেক রহমানকে ‘মিথ্যা’ মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে।