বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধ করে দেশ গড়ার যে প্রত্যয় ছিল, তা করতে পারিনি। উদার সমাজ বা রাষ্ট্রব্যবস্থা সৃষ্টি করতে ব্যর্থ হয়েছি। আমরা সবাই দলাদলি করেছি, বিভক্ত হয়েছি, কিন্তু সুন্দর বাংলাদেশ গড়তে পারিনি। এই দায় আমাদের। দলাদলি আর বিভক্তির কারণেই উদার ও সুন্দর বাংলাদেশ গড়তে ব্যর্থ হয়েছি, এর দায় কোনোভাবেই এড়ানো যাবে না।
মঙ্গলবার রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশনে জিয়া শিশু একাডেমী আয়োজিত জাতীয় শিশুশিল্পী প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ১১তম জাতীয় শিশুশিল্পী প্রতিযোগিতা ‘শাপলাকুঁড়ি-২০১৯’ এর পুরস্কার বিতরণীর এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে মির্জা ফখরুল শিশুদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।
এই শিশু প্রতিযোগিতায় সারা দেশে ২২ হাজার ক্ষুদে শিল্পী বাছাই পর্বে অংশ নিয়ে চূড়ান্ত পর্বে উত্তীর্ণ হয়েছে ৪৭৬ জন। অনুষ্ঠানে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে শিক্ষায় অধ্যক্ষ সেলিনা আখতার, স্বাস্থ্যসেবায় অধ্যাপক হাসিনা আফরোজ, সঙ্গীতে এএসএম শফি মণ্ডল, শিল্পায়নে আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ, প্রবাসী কল্যাণে খান মনিরুল মনি, জনপ্রতিনিধি মনিরুল আলম সেন্টু ও আদর্শ মা মৌসুমি সাহাকে ‘কমল পদক-২০২০’ প্রদান করা হয়।
সংগঠনের নির্বাহী মহাপরিচালক এম হুমায়ুন কবীরের সভাপতিত্বে এবং মাশুক সিদ্দিকী ও নওশিন রথির সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে একাডেমীর পৃষ্ঠপোষক এলবার্ট পি কস্টা, কণ্ঠশিল্পী খুরশীদ আলম, জিনাত রেহানা, সামিনা আখতার সম্পা ও সুলতানা জামান জ্যোস্না বক্তব্য রাখেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, সকলের কাছে আমার আহ্বান থাকবে, আসুন আমরা সবাই মিলে উদ্যোগ নেই, চেষ্টা করি, আমাদের শিশুর জন্য একটা সত্যিকার অর্থেই শান্তিময় নিরাপদ পৃথিবী গড়ে তুলি, একটা প্রেমের জগত গড়ে তুলি। আসুন আমরা সবাই মিলে এই বাংলাদেশটাকে সত্যিকার অর্থেই হাসি-গান আর ফুলের একটা দেশ বানিয়ে তুলি। এটাই হোক আমাদের লক্ষ্য।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, এ বছর আমাদের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূরণের বছর, এই মাসটা স্বাধীনতার মাস। এই মাসে বাংলার মানুষেরা আমরা পাকিস্তান শাসকগোষ্ঠীর হাত থেকে নিজেদের মুক্ত করবার জন্য যুদ্ধে নেমেছিলাম। সত্যিকার অর্থে যুদ্ধ কিন্তু! কোনো খেলা খেলা যুদ্ধ নয়। ৯ মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ হয়েছে, বহু মানুষ মারা গেছে, বহু মানুষের ক্ষতি হয়েছে, প্রায় ১ কোটি মানুষ বাংলাদেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছিলো। এখানে গণহত্যা হয়েছে। এখন সময় এসেছে, ৫০ বছরে আমরা কী পেয়েছি আর কী দিয়েছি সেই হিসাব কষার। শিশুদের উন্নয়ন ও বিকাশে জিয়াউর রহমানের নানা পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে টেলিভিশনে ‘নতুনকুঁড়ি’ অনুষ্ঠান চালুর কথাও তুলে ধরেন তিনি।