রাজনীতি

দেশকে রসাতলে নিয়ে যাচ্ছে সরকার: মির্জা ফখরুল

সরকার দেশকে রসাতলে নিয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার যতদিন ক্ষমতায় থাকবে বাংলাদেশ ততই আরও দ্রুত রসাতলে যাবে। জনগণের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব থাকবে না। অর্থনীতি ও শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে যাবে। এমন কোনো বিষয় নেই যে, ধ্বংস হয়ে যায়নি। মঙ্গলবার নয়াপল্টনে মহানগর বিএনপি কার্যালয়ে দোয়া মাহফিলে অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ স্বাধীনতার পর ক্ষমতায় থাকাকালে একদলীয় বাকশাল প্রতিষ্ঠা করে। আজকে ভিন্ন চেহারাতে একটু ‘ছদ্মবেশ’ ধারণ করে গণতন্ত্রের কথা বলে, তারা গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে দিয়েছে। গণতন্ত্রকে ধ্বংস করতে গিয়ে তারা নির্বাচনকে ধ্বংস করেছে। দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করেছে। প্রশাসনকে পুরো দলীয়করণ করেছে।

তিনি বলেন, আমাদের এখন সবার মধ্যে একটা ঐক্য গড়ে তোলা দরকার। সেই ঐক্যের মধ্য দিয়ে আন্দোলনকে বেগবান, শক্তিশালী করে রাজপথে এদেরকে পরাজিত করতে হবে।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া প্রসঙ্গে ফখরুল বলেন, দেশনেত্রীর মুক্তি এটাকে আলাদা করে দেখার কোনো কারণ নেই। দেশনেত্রীর মুক্তি, এই দেশের মুক্তি, গণতন্ত্রের মুক্তি। আওয়ামী লীগকে যদি আমরা সরাতে পারি, তাহলে সব বিষয়গুলো আমরা ফিরিয়ে আনতে পারব। সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করলে কেউ আমাদের পরাজিত করতে পারবে না।

এ সময় নবগঠিত ঢাক মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি এবং যুবদলের নেতাদের অভিনন্দন জানান বিএনপির মহাসচিব। তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করব ঢাকা মহানগরের নতুন কমিটির নেতৃত্বে সংগঠন আরও শক্তিশালী হবে এবং এই সরকারকে পরাজিত করতে ভূমিকা রাখবে।’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, দেশনেত্রীর মুক্তি ছাড়া এদেশের মানুষের গণতান্ত্রিক মুক্তি হবে না। দেশের যে অবস্থা, এই অবস্থায় মানুষের কোনো কথাই এই সরকার কর্ণপাত করছে না। তারা তাদের মতো করে চলছে। তাদের মতো করে কথা বলছে। জনগণের কথা তারা বুঝে না। আমরা তাদের ভাষা বুঝতে পারি না।

নয়াপল্টনে মহানগর বিএনপি কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও উত্তরের উদ্যোগে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আরোগ্য কামনায় এ দোয়া মাহফিল হয়। পরে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আশু আরোগ্য কামনায় বিশেষ মোনাজত হয়।

মিলাদ মাহফিলে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, আবদুস সালাম আজাদ, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, কেন্দ্রীয় নেতা মীর সরাফত আলী সপু, সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, মহানগর দক্ষিণের সভাপতি রফিকুল আলম মজনু, সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবিন, উত্তরের আহ্বায়ক সাইফুল আলম নিরব, সদস্য সচিব আমিনুল হক, যুব দলের নবনির্বাচিত সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না, সিনিয়র সহসভাপতি রেজাউল করীম পল, সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *