ইফতেখার আহমেদ ফর্মের তুঙ্গে থাকলেন, করলেন হাফ সেঞ্চুরি। রান এলো সাকিব আল হাসান-মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ব্যাটেও।
তাতে ঢাকার সামনে বেশ বড় লক্ষ্যই দিয়েছিল বরিশাল। ওই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে বড় রান আসেনি টপ-অর্ডারদের ব্যাটে। কিন্তু এরপর মোহাম্মদ মিঠুন ও নাসির হোসেনের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ায় তারা। কিন্তু শেষ অবধি পায়নি জয়ের দেখা।
শুক্রবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে বিপিএলের ম্যাচে ঢাকা ডমিনেটরসকে ১৩ রানে হারিয়েছে ফরচুন বরিশাল। আগে ব্যাট করতে নেমে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৭৩ রান করে বরিশাল। জবাব দিতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভার খেলে ৪ উইকেট হারায় ঢাকা। বরিশালের টানা পাঁচ জয়ের বিপরীতে সমান হার ঢাকার।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি বরিশালের। ১৭ রানের ভেতরই তারা হারিয়ে ফেলে দুই ওপেনার সাইফ হাসান (১০) ও এনামুল হক বিজয়কে (৬)। দ্রুত বিদায় নেন মেহেদী হাসান মিরাজ (১৭) এবং চতুরাঙ্গা ডি সিলভাও (১০)। ৬৩ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলে তাই বিপদে পড়ে বরিশাল।
কিন্তু সাকিবের ব্যাটিং দেখে তা মনেই হয়নি। আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে বোলারদের এসেই তুলোধুনো করতে থাকেন বরিশাল অধিনায়ক। টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহককে অবশ্য বেশি ভয়ঙ্কর হতে দেয়নি ঢাকা। মুক্তার আলীর বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন ১৭ বলে ৪ চার ও ১ ছক্কায় ৩০ রান করা সাকিব।
তবে পরে বরিশালের আর কোনো উইকেটই নিতে পারলো না ঢাকা। পঞ্চম উইকেটে জুটি বেঁধে দলকে চাপের মুখ থেকে সুবিধাজনক অবস্থানে নিয়ে যান মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও ইফতেখার আহমেদ। মাহমুদউল্লাহর ব্যাট যদিও সেভাবে কথা বলেনি। তবে ৩৪ বলে ৫ চার ও ২ ছক্কায় ৫৬ রান করেন ইফতেখার। অপরপ্রান্তে ৩১ বলে ২ চার ও ১ ছক্কায় কেবল ৩৫ রানে অপরাজিত ছিলেন মাহমুদউল্লাহ।
তবে ইফতেখারের সঙ্গে তার অবিচ্ছিন ৮৪ রানের জুটি দলের জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ ছিল। ঢাকার হয়ে সর্বোচ্চ দুটি উইকেট নেন নাসির হোসেন। একটি করে পকেটে পুড়েন সালমান ইরশাদ, আরাফাত সানি ও মুক্তার।
বরিশালকে জবাব দিতে নেমে শুরুটা ভালোই হয়েছিল ঢাকার। উদ্বোধনী জুটিতে সৌম্য সরকার ও উসমান গণি মিলে যোগ করেন ৪৬ রান। ২ চার ও ৩ ছক্কায় ১৯ বলে ৩০ রান করে করিম জানাতের বলে উসমান ফিরলে এই জুটি ভেঙে যায়। অফ ফর্ম কাটাতে পারেননি সৌম্যও।
১ চার ও ছক্কায় ১৫ বলে ১৬ রান করে চতুরঙ্গা ডি সিলভার বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে আউট হয়ে যান তিনি। ৮ বলে ৩ রান করে রান আউট হন মোহাম্মদ ইমরানও। ১৩ রানের ভেতর তিন উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে যায় ঢাকা। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়ায় মোহাম্মদ মিথুন ও নাসির হোসেনের ব্যাটে।
তাদের ৮৯ রানের জুটি ভাঙে মোহাম্মদ মোহাম্মদ মিথুন বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরত গেলে। ২ চার ও ৩ ছক্কায় ৩৮ বলে ৪৭ রান করে মোহাম্মদ ওয়াসিমের শিকার হন তিনি। এরপর নাসির হোসেন শেষ অবধি অপরাজিত থাকলেও দলকে জেতাতে পারেননি। ৩ চার ও ২ ছক্কায় ৩৬ বলে ৫৪ রান আসে তার ব্যাট থেকে।