নিজেদের অপরাধ অন্যের ওপর চাপানো বিএনপির অভ্যাস বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
রোববার (১৫ নভেম্বর) নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জাতীয় সংসদ ভবন এলাকার সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ওবায়দুল কাদের এ প্রতিনিধি সম্মেলনে যুক্ত হন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, জনগণকে আগুনে পুড়িয়ে বিএনপি জনগণের জন্য আন্দোলন করছে। এটা তাদের তামাশা ছাড়া আর কিছু না৷ আগুন সন্ত্রাস ও অপকর্ম যারা করে তাদের পৃষ্ঠপোষকদেরও খুঁজে বের করা হবে। ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের কুমতলব আবারও শুরু করেছে বিএনপি। এ কুমতলব থেকে সবাইকে সতর্ক থাকারও আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের।
ওবায়দুল কাদের বিএনপিকে স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, মাগুরা- বগুড়ার নির্বাচনের কথা জনগণ এখনো ভুলে যায়নি।
ওবায়দুল কাদের দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, দুঃসময়ের ত্যাগী নেতাদের মূল্যায়ন করুন, এরাই বিপদে পাশে থাকবে। আর সুবিধাভোগীদের হাজার পাওয়ারের বাতি জ্বালিয়েও খুঁজে পাওয়া যাবে না। ক্ষমতার দাপট দেখাবেন না। ক্ষমতা চিরস্থায়ী না। সব কলহ থেকে বের হয়ে আসতে হবে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনার সরকার অনিয়মকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে প্রমাণ করেছে অপরাধীদের দলে কোনো ভাবেই স্থান হবে না। শেখ হাসিনা দেশে ফিরে এসে কলহ-কোন্দলে জর্জরিত আওয়ামী লীগকে এক সুতায় ঐক্যবদ্ধ করেছেন। তাই তো আওয়ামী লীগ আজ জনগণের সংগঠনে পরিণত হয়েছে। করোনাকালেও অর্থনৈতিক চাকা সচল রয়েছে তার বিজ্ঞ নেতৃত্বে।
ওবায়দুল কাদের ঘরের কথা চায়ের দোকানে বসে একে অন্যের বিরুদ্ধে গিবত না করারও আহবান জানান।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুকে যথাযথ মর্যাদা দিয়েছেন উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিজয় দিবসে বিজয়ের নায়কের নাম নিষিদ্ধ, স্বাধীনতা দিবসে স্বাধীনতার মহানায়কের নাম মুখে নেওয়া নিষিদ্ধ ছিল। এর চেয়েও কষ্টের আর কি হতে পারে, বঙ্গবন্ধু কন্যা ক্ষমতায় এসে বঙ্গবন্ধুকে তার যথাযথ মর্যাদার আসনে স্থান দিয়েছেন।
নাটোরও এর আশপাশের জেলার সড়ক অবকাঠামোর উন্নয়নের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, অতীতে কোনো সরকার এর সিকিভাগও করেনি।
নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক আবদুল কুদ্দুসের সভাপতিত্বে প্রতিনিধি সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সাজেদুর রহমান খান এবং সংসদ সদস্য (এমপি) শহিদুল ইসলাম বকুল ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শিমুল প্রমুখ।