দল জিতলে আড়াল হয়ে যায় আনেক দুর্বলতাই। দেড়শ রানের মতো বড় ব্যবধানের জয় হলে তো কথাই নেই। তবে তামিম ইকবাল চাপা পড়তে দিচ্ছেন না ঘাটতির জায়গাটুকু। প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ রেকর্ড গড়া জয় পেলেও টপ অর্ডারের পারফরম্যান্সে সন্তুষ্ট নন বাংলাদেশ অধিনায়ক। কাঠগড়ায় তুলছেন তিনি নিজেকেও। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে তামিমের চাওয়া, তার ও সাকিব আল হাসানের মতো অভিজ্ঞদের ব্যাটে বড় ইনিংস।
প্রথম ওয়ানডেতে জিম্বাবুয়েকে ১৫৫ রানে হারিয়ে তিন ম্যাচের সিরিজে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। দেশের বাইরে যা বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় জয়। দ্বিতীয় ম্যাচ রোববার হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে। ম্যাচ শুরু বাংলাদেশ সময় দুপুর দেড়টায়।
এই ম্যাচ জিতলে এক যুগ পর জিম্বাবুয়েতে ওয়ানডে সিরিজ জয়ের স্বাদ পাবে বাংলাদেশ। ২০০৯ সালে সেখানে সিরিজ জয়ের পর ২০১১ ও ২০১৩ সালে ফিরতে হয়েছিল হেরে।
প্রথম ম্যাচে ২৭৬ রানের পুঁজি গড়লেও এক পর্যায়ে বাংলাদেশের রান ছিল ৪ উইকেটে ৭৪। তামিম নিজে আউট হন শূন্য রানে, উইকেটে অস্থির উপস্থিতি শেষে সাকিব বিদায় নেন ১৯ রানে। পরে ব্যর্থ হন মোহাম্মদ মিঠুন, মোসাদ্দেক হোসেনরাও। বিপদ থেকে দলকে উদ্ধার করে লিটন দাসের সেঞ্চুরি।
শুরুর বিপর্যয়ের পুনরাবৃত্তি আর দেখতে চান না তামিম। বিসিবির ভিডিও বার্তায় বাংলাদেশ অধিনায়ক বললেন, সিরিজ জয়ের ম্যাচে তার আর সাকিবের দায়িত্ব নিতে হবে বেশি।
“উন্নতির তো কোনো শেষ নেই। তবে কম রানে যদি তিনটা উইকেট পড়ে যায়, সেটা আদর্শ কিছু নয়। আমরা চেষ্টা করব, আমাদের টপ অর্ডার থেকে আমি বা সাকিব যদি বড় ইনিংস খেলতে পারি, তাহলে দল হয়তো এমন পরিস্থিতিতে পড়বে না।”
“চেষ্টা করব পরের ম্যাচে এমন সুযোগ এলে তা কাজে লাগাতে। আমার কাছে মনে হয় বোলিং নিয়ে আমি খুবই সন্তুষ্ট। খুবই খুশি আমরা যেভাবে বোলিং করেছি।”
প্রথম ম্যাচে জয়ের পর শনিবার বিশ্রামে ছিল দল। তামিম জানালেন, প্রথম ম্যাচের সেঞ্চুরির পথে কুঁচকিতে টান লাগলেও এখন ফিট লিটন দাস। তবে খুব আশার কথা শোনাতে পারেননি তিনি মুস্তাফিজুর রহমানকে নিয়ে। প্রথম ম্যাচে খেলতে না পারা বাঁহাতি পেসারের অবস্থা এখনও ‘ফিফটি-ফিফটি।’