জাতীয়

নেদারল্যান্ডসের সমুদ্র সৈকতের আদলে কক্সবাজারে বাঁধ হচ্ছে

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের ভাঙনরোধে বাঁধ তৈরি হচ্ছে। নেদারল্যান্ডসের রটারড্যাম সমুদ্র সৈকতে নির্মিত মাল্টিফাংশনাল ডায়েক-এর আদলে এই বাঁধ করা হবে।

বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে উপস্থাপিত প্রতিবেদনে এ তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে জানানো হয়, কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের ভাঙনরোধ এবং সৈকতের প্রশস্ততা বৃদ্ধি সম্পর্কিত ডিজাইন স্থানীয় সংসদ সদস্যদের পরামর্শক্রমে আরও যুগোপযোগী করার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের সুপারিশ করেছিল সংসদীয় কমিটি। সেই সুপারিশের আলোকে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে কমিটিকে জানানো হয়, প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের ভাঙন রক্ষার্থে মাল্টিপারপাস বাঁধ নির্মাণ এবং টেকসই ও পরিবেশবান্ধব সমন্বিত উন্নয়ন ডিজাইন অনুযায়ী প্রণয়ন হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সব স্টেকহোল্ডারদের মতামত এবং আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা করে প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়েছে। পরিকল্পনা কমিশনে প্রস্তাবিত ডিপিপিকে ব্যয় সাশ্রয়ী আকারে পুনর্গঠনের কাজ বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের সংশ্লিষ্ট মাঠ দপ্তরে চলমান রয়েছে।

এতে জানানো হয়, সংসদীয় কমিটির আরেকটি সুপারিশ ছিল- আশেপাশের দেশগুলো যেসব প্রযুক্তি ব্যবহার করে তাদের সৈকতগুলোর ভাঙনরোধ করেছে, সেগুলো বিবেচনায় নিয়ে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের ভাঙনরোধ করার স্থায়ী পদক্ষেপ গ্রহণের সুপারিশ করা হয়। সেই সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতেই জানানো হয়, কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের ভাঙনরোধে সম্ভাব্যতা সমীক্ষা চলাকালে বিশ্বের বিভিন্ন উন্নত দেশে সমুদ্র সৈকতে ভাঙন রোধে নেওয়া স্থায়ী ব্যবস্থা পর্যালোচনা করা হয়। নেদারল্যান্ডসের রটারড্যাম সমুদ্র সৈকতে নির্মিত মাল্টিফাংশনাল ডায়েক-এর আদলে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের কিছু অংশে বাঁধ নির্মাণের ডিজাইন করা হয়েছে।

গত ২৮ নভেম্বরে বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির অনুষ্ঠিত বৈঠকে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের ভাঙনরোধের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। ওই বৈঠকে আশেপাশের দেশগুলো কিভাবে ও কোন ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহার করে ভাঙন থেকে তাদের বিচগুলো রক্ষা করছে, সে বিষয়ে বাস্তব অভিজ্ঞতার আলোকে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের ভাঙনরোধে স্থায়ী পদক্ষেপ গ্রহণের পরামর্শ দেওয়া হয়।

সংসদীয় কমিটির সদস্য ও বিমান প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী যুগান্তরকে বলেন, কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে রূপদানের উদ্দেশ্যে সমুদ্রের ভেতরে রানওয়ে সম্প্রসারণ করার নতুন এই প্রকল্পে এখনো কনসালট্যান্ট নিয়োগ করা না হলেও অন্যান্য কাজ এগিয়ে যাচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *