কোনো প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র নির্ধারিত সময়ের মধ্যে না পেলে এখন থেকে তাদের ‘মৌনতা সম্মতির লক্ষণ’ হিসেবে ধরে নেওয়া হবে।
মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এমন নির্দেশনা দিয়েছেন বলে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান জানিয়েছেন।
বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র পেতে দেরি হওয়ার প্রসঙ্গ উঠলে সরকার প্রধানের এমন নির্দেশনা আসে।
মান্নান বলেন, “প্রকল্প বাস্তবায়নের সময় অনেক ক্ষেত্রে গাছপালা কাটতে হয়, তখন পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্রের প্রয়োজন হয়। প্রকল্প বাস্তবায়ন কেন দেরি হয় এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী জানতে চাইলে অনেক বলেন, পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র পেতে দেরি হয়, তাই আমাদেরও প্রকল্প বাস্তবায়নে দেরি হয়।
“তখন প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটা অল্প দেরি হতে পারে। ছাড়পত্রের জন্য পরিবেশ অধিদপ্তরের কাছে সুনির্দিষ্ট সময়ের জন্য উল্লেখ করে ছাড়পত্রের (অনুমোদনের) জন্য যাবে। এই নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে যদি তারা ছাড়পত্র বা কোনো মন্তব্য না দেয়, তাহলে ধরে নেওয়া হবে তাদের কোনো আপত্তি নেই। তাদের জন্য আর অপেক্ষা করব না।”
প্রধানমন্ত্রীর এই নির্দেশনাকে ‘মেজর সিদ্ধান্ত’ উল্লেখ করে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, “এটাকে আমরা প্রক্রিয়াজাত করব, আইনি পর্যায়ে নিয়ে আসব।”
এ বিষয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে বিষয়টি স্পষ্ট করতে গিয়ে তিনি বলেন, “পরিবেশ অধিদপ্তর নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সিদ্ধান্ত না দিলে মৌনতা সম্মতির লক্ষণ হিসেবে ধরে নিয়ে প্রকল্পের কাজ এগিয়ে নিতে পারবে।”
পরিকল্পনামন্ত্রী একই সঙ্গে বলেন, “তবে প্রধানমন্ত্রী এসময় আবারও বলেছেন, গাছ কাটতে হলে গাছ লাগাতে হবে। যে কয়টা গাছ কাটতে হয়, সে কয়টা গাছ লাগাতে হবে।”
এছাড়া প্রধানমন্ত্রী বর্ষাকালে হাওর এলাকার পানি ব্যবস্থাপনার সময় ছোট ছোট খাল বাঁচিয়ে রাখতে সাবধানতা অবলম্বনের নির্দেশও দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
মান্নান বলেন, “হাওর এলাকায় জ্যৈষ্ঠ মাসে পানি ঢুকে আবার আশ্বিন মাসে বের হয়ে যায়। এসব জায়গার পানি উভয়মুখী। এখানে অনেক ছোট ছোট নদী রয়েছে।
“প্রধানমন্ত্রী এই পানি নিয়ন্ত্রণের সময় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সাবধানতা অবলম্বন করতে বলেছেন, যাতে ওই ছোট ছোট খালগুলো না মরে যায়।”