টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে উপমহাদেশের উইকেটে পাওয়ার প্লেতে স্পিনারদের বোলিং করতে দেখা যায় নিয়মিতই। বাংলাদেশ দলে সে দায়িত্বটা পড়ে শেখ মাহেদীর কাঁধে।
এখন পর্যন্ত পাওয়ার প্লেতে ৩৫ ইনিংসে বোলিং করে ৫.৬৭ ইকোনমিতে ২০ উইকেট শিকার করেছেন এই ডানহাতি স্পিনার। বাকি ১৮টি উইকেট পাওয়ার প্লের বাইরে।
বাংলাদেশের হয়ে পরপর দুটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে যাচ্ছেন মাহেদী। পাওয়ার প্লেতে বোলিং করা উপভোগের চেয়ে চ্যালেঞ্জই মনে হয় তার কাছে।
তিনি বলেন, ‘উপভোগ করার থেকে চ্যালেঞ্জ অনেক বেশি সেখানে। যেহেতু পাওয়ার প্লে রানের খেলা। তো সেখানে যত কম রানে নিজেকে আটকানো যায় বোলিং করে। সেই চ্যালেঞ্জই বেশি থাকে উপভোগের চেয়ে। পাওয়ার প্লেতে কঠিন পরিস্থিতি থাকে, উপভোগটা একদমই থাকে না। কিন্তু সেখানে যদি ভালোভাবে উপভোগ করতে পারি তাহলে দেখা গেছে দলের লাভটাই বেশি হয়। ‘
সচরাচর যে পারফরম্যান্স থাকে বিশ্বকাপে সেটা বদলাতে চান মাহেদী। তিনি বলেন, ‘সাধারণ যেভাবে পারফরম্যান্স করি, সেভাবে করতে চাই না বিশ্বকাপে। এর চেয়ে আরও ভালো করতে চাই। ‘
২০১৮ সালে অভিষেকের পর বাংলাদেশের জার্সিতে ৪৭ টি-টোয়েন্টি খেলেছেন মাহেদী। সাকিবকে আদর্শ মানা এই অফস্পিনার বলেন, ‘ব্যাসিক্যালি ছোটবেলা থেকে যখন ক্রিকেট খেলা বুঝি, তখন থেকে সাকিব ভাইয়ের খেলা খুব ভালো লাগতো। আমি যখন নিজেকে ৭-৮ এ ব্যাটিং করার জন্য প্রসেসটা ছিল তখন থেকেই রিয়াদ ভাইয়ের ব্যাটিংটা ভালো লাগত ফিনিশার হিসেবে। সাকিব ভাই আদর্শ বলতে পারেন। রিয়াদ ভাইয়ের ব্যাটিংটা খুব ভালো লাগে ওই পরিস্থিতিতে ওই মোমেন্টামে। ‘
‘আমি যখন এনসিএল খেলি তখন সাকিব ভাইয়ের সঙ্গে খেলছিলাম। আমি আর সাকিব ভাই তখন একসঙ্গে ব্যাটিং করছিলাম। এমনকি সাকিব ভাই যখন বোলিং করছিল আমি মাঠে শুধু তাকিয়ে দেখছিলাম। কিন্তু ওইটা আমার জন্য খুব বড় অভিজ্ঞতা ছিল, খুব রোমাঞ্চ কাজ করছিল যে সাকিব ভাইয়ের সঙ্গে খেলতে পারছি। আমার নিজেরও খুব গর্ব বোধ হচ্ছিল। ‘
এদিকে আগামীকাল থেকে শুরু হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র সিরিজ। এরপর আগামী ৮ জুন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরু করবে বাংলাদেশ।