কলকাতায় দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে শুক্রবার ৮ রানে জিতে তিন ম্যাচের সিরিজও জয় নিশ্চিত করে ফেলেছে ভারত। এর পাশাপাশি রোহিত শর্মার দল ১০০তম টি-টোয়েন্টি মাইলফলকেও নাম লিখিয়েছে।
বছরখানেক আগে পাকিস্তান এই মাইলফলকে নাম লিখিয়েছিল। তবে সময়ের হিসাবে দ্রুততম না হলেও ম্যাচের হিসাবে পাকিস্তানকে ভারত পার হয়ে গেছে।
গত বছরের এপ্রিলে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে প্রথম দল হিসেবে শততম টি-টোয়েন্টিতে জয়ের উচ্ছ্বাসে ভেসেছিল পাকিস্তান দল। সে মাইলফলকে পৌঁছাতে তাদের লেগেছিল ১৬৪ ম্যাচ। শুক্রবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ম্যাচটি ছিল আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ভারতের ১৫৫তম।
তালিকার তিনে থাকা দক্ষিণ আফ্রিকা, ১৪৭ ম্যাচে ৮৬টি জয় পেয়েছে। সুতরাং তাদের পক্ষেও ভারতের রেকর্ড ভাঙা সম্ভব হবে না। শুধু দক্ষিণ আফ্রিকা নয়, তালিকায় পরে থাকা অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, ইংল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা কিংবা ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষেও ভারতের রেকর্ড ভাঙা সম্ভব নয়।
এই দলগুলোর মধ্যে অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড আর ওয়েস্ট ইন্ডিজ এরই মধ্যে ভারতের চেয়ে বেশি ম্যাচ খেলে ফেলেছে। দক্ষিণ আফ্রিকা, ইংল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা ম্যাচ কম খেললেও ১০০-তে পৌঁছাতে প্রয়োজনীয় জয়ের সংখ্যার চেয়ে ম্যাচসংখ্যায় ভারতের সঙ্গে তাদের ব্যবধান কম।
এদিক থেকে শুধু আফগানিস্তানই হতে পারে ভারতের রেকর্ডের পথে বড় হুমকি! টি-টোয়েন্টিতে জয়ের সংখ্যার তালিকায় নবম আফগানিস্তানের এই মুহূর্তে জয়ের সংখ্যা ৬০, কিন্তু এত জয় পেতে তাদের ম্যাচ লেগেছে মাত্র ৮৮টি। অন্তত ৫০টি জয় আছে, এমন দলগুলোর মধ্যে জয়ের হারের বিচারে আফগানিস্তানের ওপরে আর কেউ নেই, দুইয়ে ভারত।
বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত ১২৩টি টি-টোয়েন্টি খেলেছে। এর মধ্যে জিতেছে মাত্র ৪৩টি। অন্তত ৪০ ম্যাচ জিতেছে, এমন ১২টি দলের মধ্যে জয়ের হারে সবার তলানিতে বাংলাদেশ।