পাকিস্তানের ২৩ টি প্রতিষ্ঠানের সংঘবদ্ধ দুর্নীতির একটি তালিকা পেয়েছে বিশ্বব্যাংক। এই প্রতিষ্ঠানগুলি (ডিআইএসসিওএস), জাতীয় ট্রান্সমিশন এবং প্রেরণ সংস্থা (এনটিডিসি) কর্তৃক গৃহীত প্রকল্পগুলির ঠিকাদারি নিতে জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছিল তারা।
ওয়ার্ল্ড ব্যাংক গ্রুপের ভাইস প্রেসিডেন্সি (আইএনটি) দ্বারা প্রস্তুত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পারস্পরিক সুবিধার জন্য এই সংস্থাগুলি নিজেদেরকে “কার্টেল” হিসাবে সংগঠিত করেছিল। ভুয়া কাগজপত্র দাখিলের মাধ্যমে স্থাপনা ব্যয় বৃদ্ধি, নির্মাণকালীন সুদের রেয়াত প্রাপ্তির ব্যবস্থাকরণ ও নির্ধারিত সময়ের চাইতে অনেক বেশি সময় যাবৎ এই সুবিধা ভোগ ইত্যাদি নানা প্রকারের দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে এই বাড়তি মুনাফা তারা হাতিয়ে নিয়েছে।
এছাড়াও চীনের সঙ্গে কৌশলগত সম্পর্ক বজায় রাখতে যে বিপুল ব্যয় সাপেক্ষ চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোর গড়ে তোলা হয়েছে সেখানে বেশ কয়েকটি চীনা বেসরকারি কোম্পানির ব্যাপক অস্বচ্ছতা, অনিয়ম ও দুর্নীতির তথ্য পাওয়া গেছে। পাকিস্তানে বিদ্যুতের মূল্য অত্যধিক বৃদ্ধির কারণ খতিয়ে দেখার জন্য সম্প্রতি সরকার নিয়োজিত একটি তদন্ত কমিটির ২৭৮ পৃষ্ঠাব্যাপী একটি প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, চীনা বেসরকারী বিদ্যুৎ উৎপাদনকারীরা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের স্থাপনা ব্যয় বৃদ্ধি ও জাল জালিয়াতির মাধ্যমে প্রায় এক’শ বিলিয়ন রুপির দুর্নীতি করেছে।
এদিকে পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরী শনিবার (৩ জুলাই) বলেছেন যে, জাতীয় জবাবদিহিতা ব্যুরো (এনএবি) সাবেক প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারীর সাথে সংশ্লিষ্ট জালিয়াতি মামলায় এযাবৎ ৩৩০০ কোটি রুপি উদ্ধার করেছে। তিনি আরো যোগ করেন যে, মামলায় প্রকৃত আর্থিক অনিয়মের পরিমাণ ছিল প্রায় ৫ হাজার কোটি রুপি।
সিন্ধু প্রাদেশিক সরকার এবং পিপিপি নেতৃত্বের প্রচ্ছন্ন সমালোচনা করে মন্ত্রী টুইট করেন যে, ‘ন্যাবের হাতে ৩৩০০ কোটি রুপি (প্রায় ২০ কোটি ডলারের সমান) উদ্ধারে যে কেউ কল্পনা করতে পারে যে, দেশে দুর্নীতির মাত্রা কতটা’। তিনি আরও যোগ করেন, ‘এটি ইঙ্গিত দেয় যে, শাসকরা নির্মমভাবে সিন্ধু ও পাকিস্তানকে লুট করেছে’।