জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি আ স ম আবদুর রব বলেছেন, জনগণের অধিকার রুদ্ধ করে স্বাধীনতা কখনো অর্থবহ হতে পারে না। জনগণকে ক্রীতদাসে পরিণত করার যে শাসনব্যবস্থা, রাষ্ট্রীয় বলপ্রয়োগ, নিপীড়ন ও দমনের বিপরীতে প্রয়োজনের প্রেক্ষাপটেই দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধের ডাক দেওয়া হয়েছে। জাতির এখন চরম দুর্দিন। আজকের ছাত্র সমাজ সংগ্রামী ও লড়াকু ছাত্র সমাজের উত্তরাধিকার। রাজপথে নামতে হবে লাশ হওয়ার জন্য নয়, এবার আন্দোলন করতে হবে স্বৈরাচারী শাসকদের মুখোশ ছিঁড়ে ফেলার জন্য।
মঙ্গলবার বিকালে জাতীয় প্রেস ক্লাব তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ (জেএসডি) আয়োজিত ‘তরুণদের ভাবনায় আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণে তারুণ্যের সিরাজুল আলম খান’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে তিনি এসব কথা বলেন।
আ স ম আবদুর রব বলেন, বিদ্যমান দুঃশাসন থেকে মুক্তি পেতে, ফ্যাসিবাদী শাসনব্যবস্থা অপসারণ করতে, রাষ্ট্রের মালিকানা জনগণের হাতে ফেরত দিতে গণবিস্ফোরণ আসন্ন। সরকারি দলের ছাত্র সমাজকে স্বৈরাচারীর পক্ষ ত্যাগ করে গণজাগরণ গণঅভ্যুত্থান ও গণবিস্ফোরণের সহায়ক শক্তি হিসেবে গণমানুষের পক্ষে দাঁড়াতে হবে। কর্তৃত্ববাদের অবসান, গণমানুষের গণরাষ্ট্র বিনির্মাণে ‘দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধের’ বিকল্প নেই। ঔপনিবেশিক শাসন ব্যবস্থার বিপরীতে সিরাজুল আলম খানের অংশীদারিত্বের রাজনৈতিক দর্শন আগামী বাংলাদেশের জন্য অনিবার্য।
সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ (জেএসডি) সভাপতি তৌফিক উজ জামান পীরাচা। বক্তব্য রাখেন জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, পেশাজীবী সংগঠনের নেতা ডা. সাখাওয়াত হাসান জীবন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মেহজাবীন রহমান নাভা, যুব বাঙালির কেন্দ্রীয় সদস্য অয়ন আমান, ছাত্রদলের সহ-সভাপতি তবিবুর রহমান সাগর, ছাত্র ফেডারেশনের (গণসংহতি আন্দোলন) সভাপতি মশিউর রহমান রিচার্ড, ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম আদিব, ছাত্র ফেডরেশনের (মুক্তি কাউন্সিল) সাধারণ সম্পাদক সৌরভ রায়, ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোসলেহ উদ্দিন বিজয়, প্রচার সম্পাদক নাহিদ ইসলাম প্রমুখ। সভায় ‘স্বৈরাচারবিরোধী’ বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলার লক্ষ্যে ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে ১৫ দফা কর্মসূচি উত্থাপন করা হয়।