সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে আরও ৫ হাজার পদ বেড়েছে। ইতোপূর্বে ২০২০ সালের ২০ অক্টোবর ৩২ হাজার ৫৭৭ পদে নিয়োগের লক্ষ্যে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছিল।
এরসঙ্গে এখন নতুন পদ যোগ করে এখন সাড়ে ৩৭ হাজার শিক্ষক নিয়োগ করা হবে। আগামী ১৪ ডিসেম্বর এই নিয়োগ পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হবে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ১৪ ডিসেম্বর এই ফল প্রকাশ করা হবে। এ লক্ষ্যে সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।
৫ হাজার পদ বাড়ানোর প্রথম কারণ হচ্ছে, নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করা অবধি সবসময়ই প্রার্থীদের একটি অংশ অপেক্ষাকৃত ভালো পদে চাকরি পেয়ে চলে যায়। তাই তারা নিয়োগের জন্য নির্বাচিত হলেও যোগদান করেন না। তাই সাড়ে ৩২ হাজার প্রার্থীর সবাইকে নাও পেতে পারি। ফলে বিদ্যালয়ে যে শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে সেটা প্রত্যাশা অনুযায়ী পূরণ নাও হতে পারে। আর তেমনটি হলে আরেকটি নিয়োগ পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা ভূগবে। এই বিষয়টি রেখেই পদ সংখ্যা বাড়নো হচ্ছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, প্রায় ২৬ মাস আগে এই নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হলেও করোনা পরিস্থিতির কারণে প্রক্রিয়া শেষ করতে দেরি হয়। অন্যদিকে প্রতিবছর গড়ে ৭-৮ হাজার শিক্ষক অবসরে যান। সেই হিসাবে শূন্যপদের সংখ্যা আরও অনেক বেড়ে গেছে।
এই অবস্থায় বিদ্যালয়গুলোতে সৃষ্ট শিক্ষক সঙ্কট নিরসনের লক্ষ্যে আরও কিছু পদে নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেয় মন্ত্রণালয়। সেই অনুযায়ী চলতিবছরের ১ জানুয়ারি পর্যন্ত শূন্য হওয়া পদ যুক্ত করা হয়েছে।
জানা গেছে, উল্লেখিত বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী প্রাথীদের লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। পরে বুয়েটের কারিগরি সহায়তায় ফল তৈরি করা হয়। মোট তিন ধাপে লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল। এতে প্রথম ধাপে উত্তীর্ণ হন ৪০ হাজার ৮৬২ জন, দ্বিতীয় ধাপে ৫৩ হাজার ৫৯৫ এবং তৃতীয় ধাপে ৫৭ হাজার ৩৬৮ জন। এ নিয়োগ পরীক্ষায় মোট আবেদন করেন ১৩ লাখ ৯ হাজার ৪৬১ জন প্রার্থী।
২০১৯ সালের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা ৮ ধারার ২ নম্বর উপধারার (ঘ) অনুযায়ী ৬০ শতাংশ পদে নারী শিক্ষক নিয়োগ পাবেন। অবশিষ্ট পদে পোষ্য ২০ শতাংশ ও বাকিরা পুরুষ প্রার্থী। নিয়োগের ক্ষেত্রে আবার ২০ শতাংশ বিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রিধারী প্রার্থী মেধা অনুযায়ী বিবেচিত হবেন।