বাংলাদেশের উন্নয়নে পাঁচ কৌশলে গুরুত্ব দিচ্ছে জাতিসংঘ। রোববার রাজধানীর অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগে (ইআরডি) অনুষ্ঠিত জয়েন্ট স্টিয়ারিং কমিটির (জেএসসি) সভায় এসব বিষয় তুলে ধরা হয়।
জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন সহযোগিতা ফ্রেমওয়ার্ক (সহযোগিতা) বাস্তবায়নের জন্য অগ্রাধিকার নির্ধারণে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন ইআরডি সচিব শাহরিয়ার কাদের সিদ্দিকী ও জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গুইন লুইস।
সভায় জানানো হয়, সহযোগিতার ফ্রেমওয়ার্ক ২০২২-২০২৬ সময়কাল ধারণ করে জাতিসংঘের সহায়তার রূপরেখা দেবে। এই ফ্রেমওয়ার্কের কৌশলগুলো হলো অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়ন, ন্যায়সঙ্গত মানব উন্নয়ন এবং সুস্থতা, টেকসই-স্বাস্থ্যকর ও স্থিতিস্থাপক পরিবেশ, রূপান্তরমূলক, অংশগ্রহণমূলক এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক শাসন এবং লিঙ্গ সমতা ও লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা দূর করা।
সভায় আরও জানানো হয়, ২০২৩ সালের ফলাফল প্রতিবেদনে দেখা যায়, জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচিতে ২১ কোটি ৯০ লাখ ডলার দিয়েছে। ২০২৩ সালে সহযোগিতা ফ্রেমওয়ার্কের অধীনে এই সহায়তা দেওয়া হয়। ফলে ২৮ মিলিয়ন মানুষ আর্থিক পরিষেবায় ডিজিটালের সঙ্গে নিজেদের খাপ খাইয়েছে। ২ লাখ ৫০ হাজার প্রান্তিক শিশু প্রতিকারমূলক শিক্ষায় পৌঁছেছে। ২ লাখ ৬৮ হাজার ৪৯১টি মামলার নিষ্পত্তি হয়েছে। এছাড়া জাতিসংঘ-সমর্থিত গ্রাম আদালতের মাধ্যমে লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা থেকে বেঁচে থাকা ২ লাখ ৬৭ হাজার ৬০০ মানুষ টিকে থাকতে সহায়তা করেছে।