করোনার ঝুঁকি, ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের শীর্ষ ১২ ক্রিকেটার আসছেন না বাংলাদেশ সফরে। নিয়মিত অধিনায়ক জেসন হোল্ডার, কাইরন পোলার্ডসহ এক ঝাঁক অভিজ্ঞ ক্রিকেটার এভাবে সফর থেকে সরে দাঁড়ানোর খবরে বিস্মিত ক্যারিবিয়ান কিংবদন্তি অ্যান্ডি রবার্টস।
সাবেক এই ফাস্ট বোলার সরাসরি এক হাত নিয়েছেন হোল্ডার-শাই হোপদের। তিন ওয়ানডে ও দুই টেস্ট খেলতে আগামী ১০ জানুয়ারি বাংলাদেশে আসছে উইন্ডিজ দল।বিকেএসপিতে ১৯ বছর আগে অ্যান্ডি রবার্টসের ক্যাম্প থেকেই পেসার মাশরাফি বিন মুর্তজার বেড়ে উঠা। বাংলাদেশের প্রতি ৬৯ বছর বয়সী ক্যারিবিয়ানের ভালোবাসা অমূল্য।
পুরান-হেটমায়ারদের সরে দাঁড়ানো নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। দেশটির স্পোর্টস ম্যাক্স টিভিকে অ্যান্ডি রবার্টস বলেছেন, ‘কিভাবে তারা সবাই এত বড় হয়ে গেল? ২-৩ বছর আগেও যাদের দলে জায়গা ছিল না, জৈব সুরক্ষা বলয়কে দোষারোপ করে সফরে যেতে অস্বীকৃতি জানাচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই খেলোয়াড়দের সিংহভাগ যখন ইংল্যান্ড গেল, নিউজিল্যান্ড গেল, তখন কি এই সমস্যা ছিল? এখন কিভাবে এটা সমস্যা হয়ে গেল, যখন তারা বাংলাদেশে যাচ্ছে?
আরেক ক্যারিবিয়ান কিংবদন্তি কার্টলি অ্যামব্রোস অবশ্য হোল্ডারদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। তবে তিনিও বিস্মিত এত ক্রিকেটার সফর থেকে সরে দাঁড়ানোয়। জ্যামাইকা রেডিওকে অ্যামব্রোস বলেছেন, ‘যখন আমরা ইংল্যান্ড সফরে যাই, তখনো কেউ কেউ করোনার কারণে বা ব্যক্তিগত কারণে সফরে যায়নি। একইভাবে অনেকে নিউজিল্যান্ডে যায়নি। তাই গত দুই সফরেই এটা হয়ে আসছে। তাই আমি জানতাম কয়েকজন এই সফরেও নিজেদের সরিয়ে নেবে। তাই বলে সংখ্যাটা দশ হবে, ভাবিনি। আমার কাছে সংখ্যাটাকে অনেক বেশি মনে হচ্ছে।’
অ্যামব্রোস আরও বলেন, ‘খেলোয়াড়দের আপনি দোষারোপ করতে পারেন না। চাপ আর বিষণ্ণতা নিয়ে আপনি টেস্ট সিরিজ খেলতে যেতে পারেন না। আপনাকে স্বাচ্ছন্দ্য হতে হবে, প্রতিদিন ভালো করার মত অবস্থায় থাকতে হবে।’
এদিকে ক্রিকেট ওয়েস্ট ইন্ডিজের ডিরেক্টর অব ক্রিকেট জিমি অ্যাডামস সফরটাকে তরুণদের জন্য সুযোগ হিসেবেই দেখছেন।