প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বাংলাদেশে সফররত ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে পাঁচটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। এই বৈঠকে ভার্চুয়ালি বেশ কয়েকটি প্রকল্পের উদ্বোধন করা হয়। এছাড়াও প্রধানমন্ত্রীদ্বয় আগামী ৬ ডিসেম্বর মৈত্রী দিবস উদযাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
শনিবার ( ২৭ মার্চ) বিকাল সাড়ে পাঁচটার দিকে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে দুই দেশের সরকার প্রধানের মধ্যে বৈঠকটি শুরু হয়। শেষ হয় সন্ধ্যা ছয়টার কিছু পর। নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে পৌঁছালে কার্যালয়ের টাইগার গেটে নরেন্দ্র মোদিকে স্বাগত জানান শেখ হাসিনা।
প্রথমে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী একান্ত বৈঠকে বসেন। এরপর দুই দেশের প্রতিনিধিদের নিয়ে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসেন। দুই দেশের সরকার প্রধানের উপস্থিতিতে বাণিজ্যে অশুল্ক বাধা দূর, তথ্য-যোগাযোগ সহায়তা ও দুর্যোগ মোকাবিলাসহ পাঁচটি সমঝোতা স্মারক সই হয়।
সমঝোতা স্মারক সই ছাড়াও দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে ভার্চুয়ালি বেশ কয়েকটি প্রকল্পের উদ্বোধন করা হয়। যার মধ্যে রয়েছে, ঢাকা ও নিউ জলপাইগুড়ির মধ্যে যাত্রীবাহী ট্রেন সার্ভিস, বাংলাদেশ-ভারত স্বাধীনতা সড়ক। মুক্তিযুদ্ধে যেসব ভারতীয় সৈন্য আত্মাহুতি দিয়েছেন তাদের স্মরণে আশুগঞ্জে একটি সমাধিসৌধ উদ্বোধন করা হয়। এছাড়াও কুষ্টিয়ার শিলাইদহে কুটিবাড়িতে ভারতের অর্থায়নে যে সংস্কার কাজ হয়েছে তারও উদ্বোধন করা হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশের কাছে ভারতের ১০৯টি অ্যাম্বুলেন্স হস্তান্তর করেন মোদি। এছাড়া দুটি সীমান্ত হাট এবং স্মারক ডাকটিকিটের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
যে ৫ বিষয়ে সমঝোতা স্মারক সই
১. দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, অভিযোজন ও প্রশমনের ক্ষেত্রে সহযোগিতা ।
২. বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর (বিএনসিসি) এবং ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর অব ইন্ডিয়ার (আইএনসিসি) মধ্যে সহযোগিতা ।
৩. বাণিজ্য বিকাশে অশুল্ক বাধা দূর করতে একটি সহযোগিতা ফ্রেমওয়ার্ক প্রতিষ্ঠা করা ।
৪. বাংলাদেশ-ভারত ডিজিটাল সার্ভিস অ্যান্ড এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড ট্রেনিং (বিজিএসটি) সেন্টারের জন্য তথ্যপ্রযুক্তি সরঞ্জাম, কোর্সওয়্যার ও রেফারেন্স বই সরবরাহ এবং প্রশিক্ষণ সহযোগিতা ।
৫. রাজশাহী কলেজ মাঠের উন্নয়নে একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন ।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর আয়োজনে যোগ দিতে শুক্রবার মোদি ঢাকায় আসেন। রাষ্ট্রীয় আনুষ্ঠানিকতা শেষে শনিবার তিনি যান সাতক্ষীরা ও গোপালগঞ্জে।
৬ ডিসেম্বর উদযাপন হবে মৈত্রী দিবস
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আগামী ৬ ডিসেম্বর মৈত্রী দিবস উদযাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা।এর আগে,শনিবার ( ২৭ মার্চ) বিকাল সাড়ে পাঁচটার দিকে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে দুই দেশের সরকার প্রধানের মধ্যে বৈঠকটি শুরু হয়। শেষ হয় সন্ধ্যা ছয়টার কিছু পর। নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে পৌঁছালে কার্যালয়ের টাইগার গেটে নরেন্দ্র মোদিকে স্বাগত জানান শেখ হাসিনা।
প্রথমে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী একান্ত বৈঠকে বসেন। এরপর দুই দেশের প্রতিনিধিদের নিয়ে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসেন। দুই দেশের সরকার প্রধানের উপস্থিতিতে বাণিজ্যে অশুল্ক বাধা দূর, তথ্য-যোগাযোগ সহায়তা ও দুর্যোগ মোকাবিলাসহ পাঁচটি সমঝোতা স্মারক সই হয়।
সমঝোতা স্মারক সই ছাড়াও দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে ভার্চুয়ালি বেশ কয়েকটি প্রকল্পের উদ্বোধন করা হয়। যার মধ্যে রয়েছে, ঢাকা ও নিউ জলপাইগুড়ির মধ্যে যাত্রীবাহী ট্রেন সার্ভিস, বাংলাদেশ-ভারত স্বাধীনতা সড়ক। মুক্তিযুদ্ধে যেসব ভারতীয় সৈন্য আত্মাহুতি দিয়েছেন তাদের স্মরণে আশুগঞ্জে একটি সমাধিসৌধ উদ্বোধন করা হয়। এছাড়াও কুষ্টিয়ার শিলাইদহে কুটিবাড়িতে ভারতের অর্থায়নে যে সংস্কার কাজ হয়েছে তারও উদ্বোধন করা হয়।