রাজশাহীর বাগমারা ও ময়মনসিংগের পাগলায় বিএনপির দুটি কর্মসূচিতে হামলার ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে জড়িতদের গ্রেপ্তার ও শাস্তি দাবি করেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শুক্রবার এক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব এ দুই স্থানে হামলার জন্য পুলিশ ও আওয়ামী লীগের কর্মীদের দায়ি করেন।
গত বৃহস্পতিবার রাজশাহীর বাগমারায় বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের এবং বুধবার ময়মনসিংহের পাগলায় স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে।
ফখরুলের অভিযোগ, ‘‘বিএনপির কর্মসূচির কথা শুনলেই আওয়ামী লীগ ও তাদের সাজানো প্রশাসন বিচলিত হয়ে পড়ে। মনে হয় তাদের পায়ের নিচের মাটি কাঁপতে শুরু করেছে।
“গণতন্ত্রকে উচ্ছেদ করে অবৈধ ক্ষমতা ধরে রাখতে এই সরকার নানা ধরনের সর্বনাশা সহিংস পন্থা অবলম্বন করেছে। এমনকি পবিত্র ঈদের আগে পরেও আওয়ামী সন্ত্রাসের বাড়বাড়ন্ত স্তিমিত হয়নি।”
বর্তমান সরকারের ‘পতনের সাইরেন বাজতে শুরু করেছে’ মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিবের দাবি, “গণবিক্ষোভের বিস্ফোরণকে ঠেকাতেই দলীয় চেতনায় সাজানো প্রশাসন ও আওয়ামী সন্ত্রাসীদেরকে অবৈধ অস্ত্র দিয়ে মাঠে নামানো হয়েছে। এ সরকারের পতনের সাইরেন বাজতে শুরু করেছে। জনগণের সম্মিলিত শক্তির কাছে তাদের পতন এখন অতি সন্নিকটে।”
তার অভিযোগ, ‘‘রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার ভবানীগঞ্জে খালেদা জিয়ার রোগমুক্তির দোয়া মাহফিলে পুলিশের বাধা প্রদানের ঘটনায় পুলিশ এতটাই বেপরোয়া হয়ে উঠেছে যে, তারা এই ধর্মীয় অনুষ্ঠানকে বানচাল করতে সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছে, যা নজিরবিহীন।
“একইভাবে ময়মনসিংহের পাগলা উপজেলায় দক্ষিণ জেলার যুগ্ম আহবায়ক আখতারুজ্জামান বাচ্চু, তার মাসহ অর্ধশতাধিক নেতা-কর্মীর ওপর হামলা এবং তাদের ৪০টি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এসব ঘটনায় সরকারের নৃশংস ফ্যাসিবাদের উগ্র রূপ প্রকাশ পেয়েছে।”
বিবৃতিতে বাগমারা ও পাগলার ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবি জানান ফখরুল।