ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে আর রাষ্ট্রক্ষমতা ‘ছিনতাই করা যাবে না’ দাবি করে নির্বাচন পরিহারের ‘ধ্বংসাত্মক পথ’ থেকে বিএনপির ফিরে আসা ছাড়া কোনো ‘বিকল্প নেই’ বলে মন্তব্য করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
যে কোনো রাজনৈতিক দলকেই জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে ক্ষমতায় যেতে হবে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, “নির্বাচন পরিহারের যে ধ্বংসাত্মক পথ বেছে নিয়েছে বিএনপি, তা থেকে গণতান্ত্রিক পথে ফিরে আসার কোনো বিকল্প নেই।
“এ সত্য আজ দিবালোকের মত স্পষ্ট যে, বিএনপি একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে সময়ের পরিবর্তনের সাথে জনগণের মনস্তাত্ত্বিক পরিবর্তনকে বুঝতে সক্ষম হয় নাই। বাংলাদেশ বা দেশের জনগণ আর সেই আগের অবস্থানে নেই যে, চাইলেই কেউ ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে রাষ্ট্রক্ষমতা ছিনতাই করে নেবে।”
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, “গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ক্ষমতা পরিবর্তনের একমাত্র পন্থা হলো সাংবিধানিক বিধান অনুযায়ী অনুষ্ঠিত নির্বাচন। বিএনপিকে তার অতীত দুস্কর্মের জন্য ক্ষমা চেয়ে রাজনীতি করার দাবি করতে হবে।
“বিএনপি যখনই ক্ষমতায় এসেছে তখনই এদেশের গণতান্ত্রিক চেতনা ও অসাম্প্রদায়িক মূল্যবোধকে আহত করেছে।”
২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পরবর্তী সময়ের উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলে, “সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর নজিরবিহীন অত্যাচার-নির্যাতন চালানো, ধর্ষণকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার, আওয়ামী লীগের ২১ হাজার নেতাকর্মীদের হত্যার পাশাপাশি হাজার হাজার নেতাকর্মীদের আহত করেছে এবং রাজনৈতিক মামলা দিয়েছিল।”
তিনি বলেন, “বিরোধী মতকে দমনের উদ্দেশ্যে তারেক রহমানের প্রত্যক্ষ মদদে ২১ আগস্ট নারকীয় গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। যার প্রাইম টার্গেট ছিলেন বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক চেতনার কেন্দ্রবিন্দু বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনা।
“আজকে সেইসব অমোচনীয় পাপের জন্য বিএনপিরই উচিত আওয়ামী লীগ এবং দেশবাসী, বিশেষ করে শেখ হাসিনার কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়া। বিএনপি গণতান্ত্রিক সংস্কৃতিতে কোনো অবদান রাখতে পারে বা পারবে এমন মনে হয় না।”
‘আওয়ামী লীগ পালাবার পথ পাবে না’- বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন বক্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, “অন্ধকারের চোরাগলি দিয়ে পালাবার খারাপ নজির স্থাপন করেছে একমাত্র বিএনপি।
“বিএনপি নেতা তারেক রহমান আর রাজনীতি করবে না বলে মুচলেকা দিয়ে দেশত্যাগ করে লন্ডনে পালিয়েছিল, সে কথা কি বিএনপি ভুলে গেছে?”