আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, দেশে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে, দেশের চেহারা পরিবর্তন হয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা করছে। কিন্তু দেশবিরোধী শক্তি হিসাবে বিএনপি হিংসার বশবর্তী হয়ে বাংলাদেশকে বিদেশি শকুনের হাতে তুলে দিতে চায়। তারা ২৮ অক্টোবর ফাইনাল খেলার ঘোষণা দিয়ে খেলা শুরু হওয়ার আগে লেজ গুটিয়ে পালিয়ে গেছে। তারা গর্তে লুকিয়ে থাকলেও এ গণশত্রুদের সেখান থেকে বের করে উপযুক্ত বিচার করা হবে।
চট্টগ্রাম নগরীর জিইসি কনভেনশন সেন্টারে আওয়ামী লীগের সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রয়াত আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবুর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে শনিবার বিকালে আয়োজিত স্মরণসভায় তিনি এসব কথা বলেন। শনিবার বিকালে চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত এ সভায় তিনি প্রধান অতিথি ছিলেন।
দুষ্কৃতকারীদের প্রতিহত করে জনগণের জানমাল রক্ষায় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের পাশে থাকার আহ্বান জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, শত্রুরা বিশৃঙ্খলা করে নির্বাচন বানচাল করতে চায়। তারা জনগণকে ভয় পায়। তারা প্রধান বিচারপতির বাড়িতে হামলা করেছে, মসজিদে হামলা করেছে। হাসপাতালে হামলা করেছে। তিনি সবাইকে প্রয়াত আখতারুজ্জামান বাবুর মতো আপসহীন হয়ে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান।
চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি মাহাতাব উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে দক্ষিণ জেলা সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমানের সঞ্চালনায় স্মরণসভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, আওয়ামী লীগের অর্থ ও পরিকল্পনা সম্পাদক ওয়াসিকা আয়শা খান এমপি, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। আরও বক্তব্য দেন দক্ষিণ জেলা সভাপতি মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী, উত্তর জেলা সভাপতি এমএ সালাম, সাধারণ সম্পাদক শেখ আতাউর রহমান, সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম চৌধুরী, মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী, দক্ষিণ জেলা-মহিলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক এমপি চেমন আরা তৈয়ব, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এটিএম পেয়ারুল ইসলাম প্রমুখ।
ড. হাছান মাহমুদ আরও বলেন, ৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর দলের দুঃসময়ে বিপর্যস্ত আওয়ামী লীগের হাল ধরেছিলেন আখতারুজ্জামান বাবু। জননেত্রী শেখ হাসিনার পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। সারা দেশে আওয়ামী লীগকে প্রতিষ্ঠা করতে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন। তিনি ৭৫ পরবর্তী আওয়ামী লীগের একজন বলিষ্ঠ নেতা। তার কাছ থেকে নতুন প্রজন্মের অনেক কিছু শেখার আছে। ক্ষমতার লোভে তিনি আদর্শ বিকিয়ে দেননি।
আখতারুজ্জামান চৌধুরীর ছেলে ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ প্রয়াত পিতাকে স্মরণ করে বলেন, তিনি একজন জনদরদি নেতা ছিলেন। তিনি মানুষের মাঝে বেঁচে আছেন- একজন রাজনীতিবিদের এটাই বড় পাওয়া। তার কর্মে তিনি মহীয়ান।
আনোয়ারায় দোয়া মাহফিল : আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবুর ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে চট্টগ্রামের আনোয়ারায় হাইলধর গ্রামে মরহুমের বাড়িতে খতমে কুরআন ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। পরে কবর জিয়ারত ও মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়। খাবার বিতরণ করা হয় এতিমদের মধ্যে।
এদিন সকালে তার কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান আনোয়ারা উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। পরে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করেন মরহুমের ছেলে ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, চন্দনাইশের সংসদ-সদস্য নজরুল ইসলাম চৌধুরী, জেলা পরিষদ সদস্য এসএম আলমগীর চৌধুরী, আনোয়ারা উপজেলা চেয়ারম্যান তৌহিদুল হক চৌধুরী, কর্ণফুলী উপজেলা চেয়ারম্যান ফারুক চৌধুরী, আনোয়ারা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক আবদুল মান্নান চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন, কর্ণফুলী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সোলায়মান তালুকদার প্রমুখ।