আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির নেতাদের শক্তি কমে আসছে, দম ফুরিয়ে আসছে, দম ফুরিয়ে গেছে বলে লাফালাফি বন্ধ করে এখন নীরব পদযাত্রা। কেউ মারা গেলে যেমন নীরব পদযাত্রা হয় বিএনপির পদযাত্রাটা অনেকটা একইরকম। এ দিয়ে সরকার পতনের স্বপ্ন ভুয়া।
বিএনপিকে উদ্দেশ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আপনাদের সব রঙিন খোয়াব অচিরেই কর্পূরের মতো উড়ে যাবে। ক্ষমতার খোয়াব দেখছেন তো? হায়রে ময়ূর সিংহাসন। ময়ূর সিংহাসন আর ফিরে আসবে না। মহারানি ভিক্টোরিয়ার মতো ক্ষমতার মঞ্চে বসবেন, সেই দিন চলে গেছে। ফিরে কি আসবে কোনোদিন? স্বপ্ন তো দেখা যায়। দিনের বেলায়ও স্বপ্ন দেখে। দিনের বেলায় যে স্বপ্ন দেখে, তাকে কী বলে? ওই দিবাস্বপ্ন দেখতে থাকুন।
রাজধানীর তিব্বত কলোনি বাজারসংলগ্ন রাস্তায় শান্তি সমাবেশে মঙ্গলবার বিকালে তিনি এসব কথা বলেন। ‘দেশব্যাপী বিএনপি-জামায়াতের নৈরাজ্য ও অগ্নি-সন্ত্রাসের’ প্রতিবাদে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ এ সমাবেশের আয়োজন করে।
তারেক জিয়াকে উদ্দেশ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, সৎ সাহস থাকলে আসুন। লন্ডন থেকে হুংকার ছাড়েন কেন? সৎ সাহস থাকলে দেশে এসে রাজনীতি করুন। আপনি তো কাপুরুষ। কাপুরুষ কেন? রাজনীতি আর করব না, জরুরি সরকারের কাছে মুচলেকা দিয়ে তিনি লন্ডনে পাড়ি জমিয়েছেন। কয় বছর? ২০০৭ থেকে, ১৫-১৬ বছর হলো। তার রিমোট কন্ট্রোল নেতৃত্বে এখন ফখরুল করছে আন্দোলন। বাংলাদেশে রিমোট কন্ট্রোলের আন্দোলন হবে না, হবে না, হবে না। ইনশাআল্লাহ হবে না।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির আন্দোলনের কী খবর? কী খবর? সবাই বলে ভুয়া। সরকার পতন, ১০ তারিখের লাল কার্ড, বিএনপির ৫৪ দল, বিএনপির ২৭ দফা, ১০ দফা, ১৪ দফা, অবশেষে পদযাত্রা, ভুয়া। ভুয়া। ভুয়া।
সেতুমন্ত্রী বলেন, মির্জা ফখরুলের গোস্সা হয়েছে। তিনি বলছেন- ‘ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নির্বাচন নাকি মাগুরার উপনির্বাচনের দাদা।’ নির্বাচন কিন্তু এখনো হয়নি। নির্বাচন হবে আগামীকাল (বুধবার)। সকাল ১০টার মধ্যে ভোট শেষ, ১০টার পরে আর ভোট নেই, সেই নির্বাচন হবে না। মাগুরা-মার্কা ফ্রি স্টাইল নির্বাচন আগামী দিনে আর হবে না। ফখরুল সাহেব, মাগুরা স্টাইলের নির্বাচন হবে না। মাগুরার দাদাও হবে না, নানাও হবে না। মাগুরার নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হবে, আমি আজই বলে দিচ্ছি। আওয়ামী লীগ সরকার কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ করবে না।
ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমানের সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। সমাবেশ পরিচালনা করেন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমএম মান্নান কচি।