আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক নিয়ে বিদেশিরাও কিছু বলেনি। কারণ, তাদের দেশে তত্ত্বাবধায়ক নেই।
বিদেশিদের কাছে নালিশ করে সেই বিদেশিরাও বিএনপির পক্ষে কিছুই বলে না। সর্বশেষ যুক্তরাষ্ট্র এসেও তাদের সঙ্গে বৈঠক হয়নি। তারা যার সঙ্গে ইচ্ছা বৈঠক করুক। কিন্তু আমাদের এখানের গণতন্ত্র আমরাই চালাব। কারও (বিদেশি) ফরমায়েসে বাংলাদেশের গণতন্ত্র চলবে না। ’
শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ উপকমিটির উদ্যোগে শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বিএনপির উদ্দেশ্যে ওবায়দুল কাদেরের প্রশ্ন, বাংলাদেশে অহেতুক কেন তত্ত্বাবধায়কের নামে বিএনপির চক্রান্তমূলক রাজনীতি? আসলে বিএনপি সরকারের উন্নয়ন অর্জনে হেরে যাবে, তারা আজ দিশেহারা।
নির্বাচন ব্যবস্থায় বিদেশিদের ভূমিকা সম্পর্কে সেতুমন্ত্রী বলেন, আমরা নির্বাচন করি, কেমন নির্বাচন করি পর্যবেক্ষক হিসেবে শেখ হাসিনা স্বাগত জানিয়েছেন। তারা আমেরিকা থেকে আসুক, ইউরোপ থেকে আসুক, যেখান থেকে ইচ্ছা পরর্যবেক্ষক আসুক। এখানে কোনো বাধা নেই। এখানে কারও জন্য কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই।
ওবাযদুল কাদের বলেন, গণতন্ত্রের বস্ত্র হরণকারীদের মুখে গণতন্ত্রের বুলি মানায় না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গণতন্ত্রের প্রাতিষ্ঠানিক রুপ দিতে চাই। এই দেশে গণতন্ত্রের যা কিছু অর্জন, সবই কিন্তু আমাদের। পঁচাত্তর পরবর্তীতে শৃঙ্খলিত গণতন্ত্রকে শৃঙ্খলমুক্ত করার অগ্রভাগে ছিলেন আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা। তার নেতৃত্বে গণতন্ত্র শৃঙ্খলমুক্ত হয়েছে। আমরা বলতে চাই এই গণতন্ত্র একটা বিকাশমান প্রক্রিয়া। সময় পরিবর্তন যতই আসবে আমরা শত বাধা বিপত্তির মাঝে আমাদের নেত্রী গণতন্ত্র বিকাশমানে আপ্রাণ চেষ্টা করবেন।
সেতুমন্ত্রী বলেন, আমরা ষড়যন্ত্র করি না কিন্তু ষড়যন্ত্রের শিকার হই। আমরা হত্যার রাজনীতিতে বিশ্বাস করি নাভ কিন্তু আমরা বারে বারে হত্যার শিকার হই। এটা হলো বাংলাদেশের বাস্তবতা।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগ ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক মো. আমিনুল ইসলাম আমিন, স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক রোকেয়া সুলতানা, কেন্দ্রীয় সদস্য গোলাম রাব্বানী চিনু ।