রাজনীতি

বিদ্যুৎ বিপর্যয় নিয়ে যা বললেন মির্জা ফখরুল

জাতীয় গ্রিডে বিপর্যয়ের ঘটনা বিদ্যুৎ খাতে সরকারের উন্নয়ন পরিকল্পনার সার্বিক ব্যর্থতা বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বুধবার দুপুরে রাজধানীর আসাদ গেটে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদের বাসভবনে জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে বিএনপি মহাসচিব এ মন্তব্য করেন।

অসুস্থ সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী টুকুকে দেখতে সেখানে যান বিএনপি মহাসচিব ও স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে জাতীয় গ্রিডে বিপর্যয় দেখা দিলে ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, ময়মনসিংহসহ দেশের অর্ধেক অঞ্চলের বিদ্যুৎ চলে যায়। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার পর ধাপে ধাপে বিদ্যুৎ ফিরতে শুরু করে।সরকার এই বিপর্যয়ের কারণ খতিয়ে দেখতে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশের (পিজিসিবি) নির্বাহী পরিচালক ইয়াকুব ইলাহী চৌধুরীর নেতৃত্বে ৬ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে।

ফখরুল বলেন, ‘বিদ্যুৎ খাতে যে পরিকল্পনা এবং কাঠামোগত ব্যাপারটা থাকে সেখানে চুরি হয়েছে বলেই এই বিপর্যয় ঘটেছে। এটা একটা ঘটনা নয়। এটা আপনার শুধু বিদ্যুতে নয়, সর্বক্ষেত্রে ঘটনাগুলো ঘটছে। যার ফলে আজকে এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। আমি মনে করি, এর জন্য মূলত দায়ী সরকারের অপরিকল্পিতভাবে বিভিন্ন প্রজেক্ট গ্রহণ করা, বিভিন্ন উন্নয়নের প্রকল্প করা, যার লক্ষ্য হচ্ছে দুর্নীতি করা।’

তিনি বলেন, ‘সরকার তো সব সময় চিৎকার করছে, আমরা বিদ্যুতে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়ে গেছি, প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত উৎপাদনও হচ্ছে। কোথায় সমস্যা হচ্ছে সেগুলো নিয়ে বিএনপি সেমিনার করে বলেছে। কিন্তু মঙ্গলবার জাতীয় গ্রিডে বিপর্যয়ে ঘটনা ছিল অস্বাভাবিক ব্যাপার। সারা দেশে প্রায় ৮ ঘণ্টা বিদ্যুৎ ছিল না, বেশিরভাগ জায়গাতে বিদ্যুতই ছিল না। টোটাল ব্ল্যাক আউটের মতো হয়ে গেছে।’

ফখরুল আরও বলেন, ‘এ থেকে যেটা বোঝা যায়, সরকার বিদ্যুৎ উৎপাদনের নাম করে বহু প্রজেক্ট করেছে, টাকা-পয়সাও বহু বানিয়েছে। শেষ পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে, এই ধরনের একটা বড় ধরনের বিপর্যয়ের মধ্যে ফেলে দিয়েছে। এর ফলে মোবাইল নেটওয়ার্ক-ইন্টারনেট বন্ধ হয়েছে। সব কল-কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে, ফিলিং স্টেশন বন্ধ হয়ে গেছে, ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়া বন্ধ হয়ে গেছে। জাতিকে এক অসহনীয় অবস্থার মধ্যে পড়তে হয়েছে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *