কাতার ২০২২ বিশ্বকাপ ফুটবলের আয়োজন করবে। সেই দেশের মাটিতে খোদ কাতারের বিপক্ষেই শুক্রবার ( ৪ ডিসেম্বর) বাংলাদেশের ফুটবল লড়াই। রাত ১০টায় শুরু হবে কাতার বাংলাদেশ ম্যাচ। বিশ্বকাপ এবং ২০২৩ এশিয়ান কাপের বাছাই ফিরতি ম্যাচও এটি। দুই দেশের ফুটবল পার্থক্য কতো বেশি। যদি ফিফার র্যাংকিং ধরা হয় তাহলে কাতার আছে ৬৯ এবং বাংলাদেশ আছে ১৮৪ নম্বরে।
দুই দেশের পার্থক্যে বাংলাদেশ ১১৫ ধাপ পিছিয়ে। এক সময় কাতারের সঙ্গে ফুটবল লড়াই হয়েছে। কিন্তু সেই সময় এখন নেই। ধনী দেশ ফুটবলে এগিয়েছে অনেক। আর বাংলাদেশ এগুতে পারেনি। তাদের ফুটবল সুযোগ সুবিধা অনেক। বাংলাদেশের সেটি নেই। তারপরও দেখা যায় ৭৯ সালে এএফসির এশিয়ান কাপ ফুটবলে গোল শূন্য ড্র হয়েছিল।
জাকার্তা এশিয়ান গেমস ফুটবলে (অনূর্ধ্ব-২৩) কাতারকে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। বিশ্ব ফুটবলের বড় মঞ্চে কাতারের সঙ্গে বাংলাদেশের কোনো তুলনা হয় না। তারা এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন দল। আগামী বিশ্বকাপে আয়োজক হিসাবে সরাসরি খেলবে। তারপরও এখনকার ফুটবলে কাতারের মতো শক্তির বিপক্ষে বাংলাদেশের শক্তির তুলনা হয় না। যোজন যোজন দূরত্ব। কালকের ম্যাচের আগে বাংলাদেশ প্রস্তুতি নিয়েছে নেপালের মতো দলের সাথে খেলে। আর কাতার খেলেছে কোষ্টারিকা এবং দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে। কাতারের খেলোয়াড় অনেকই অন্যান্য দেশ থেকে সুযোগ সুবিধা বেশি পেয়ে নাগরিকত্ব গ্রহণ করেছে।
ঢাকায় কাতার ২-০ গোলে জিতলেও সেই ম্যাচে জামাল ভুঁইয়ার দল বাংলাদেশ ভালো খেলেছিল। কাতার বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে বৃষ্টি ভেজা কাদা মাঠে লড়াই করতে গিয়ে মসৃণ মাঠ পায়নি। কালকে কাতার নিজেদের কার্পেটিং মাঠে সেরাটা দেখাতে প্রস্তুতি নিয়েছে।
কাতারের বিপক্ষে বাংলাদেশের জয়ের পাল্লা একশ ভাগের একভাগ। কতোটা কম ব্যবধানে হারবে সেটাই বড় কথা। বাংলাদেশের টার্গেট ম্যাচ জেতা নয়। আগে ঘর সামাল দাও পরে আক্রমণে যাও। ১৯ নভেম্বর কাতার গিয়ে বাংলার ফুটবলাররা এটাই অনুশীলন করেছে। মুল টার্গেটই হচ্ছে গোল খাওয়া যাবে না। বাংলাদেশের রক্ষণভাগে চীনের প্রাচীর তুলবে রহমত, রিয়াদুল, তপু, ইয়াসিন, বিশ্বনাথরা।
এতে কোনো সন্দেহ নেই কালকের ম্যাচে লড়াইটা হবে কাতারের আক্রমণভাগ এবং বাংলাদেশের রক্ষণভাগ। ডিফেন্ডার তপু বর্মনও মনে করছে কাতারের বিপক্ষে আমাদের উপর চাপ তৈরি হবে। কিন্তু চাপ সামাল দেয়ার মতো মানসিক শক্তি রাখতে হবে। দুর্বল হলে হবে না। আমরা লড়াই করতে প্রস্তুতি রয়েছি।’ কাতারের পুরো দলটাই বাংলাদেশের বাংলাদেশকে খেলতে হবে কাউন্টার অ্যাটাকে। ৯০ মিনিটের খেলা। পুরো সময়টাকে ভাগ করে নিয়েছে বাংলাদেশ। গোল খেও না। প্রথমার্ধ পর্যন্ত ঠেকাও। দ্বিতীয়ার্ধ হতে প্রতি ১০ মিনিট ধাপে ধাপে ঠেকাতে হবে।
সুবিধা হচ্ছে দোহার আল দুহালি ক্লাবের আব্দুল্লাহ বিন খলিফা স্টেডিয়ামে কাতারের দর্শক খুব বেশি থাকবে না। ১২ হাজার আসনের মাত্র ২০ ভাগ টিকিট অনলাইনে ছাড়া হয়েছে। সব মিলিয়ে ১৮০০ দর্শক ঢুকতে পারবেন।