আগামী মাসের শুরুতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসর। টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের প্রত্যাশা কম নয়। কিন্তু বাস্তবে কতটা সম্ভব তা সময় বলে দেবে।
অতীতে বিশ্বকাপে বড় আশা করেও তেমন কোনো সাফল্য পায়নি বাংলাদেশ। গত বছর এশিয়ার কন্ডিশনে ভারতের মাঠে বড় আশা করে বিশ্বকাপ খেলতে গিয়ে নেদারল্যান্ডসের মতো আইসিসির সহযোগি সদস্য দলের বিপক্ষে হেরে যায় সাকিব আল হাসানরা।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হবে যুক্তরাষ্ট্র-ওয়েস্ট ইন্ডিজের অচেনা কন্ডিশনে। সেখানে গিয়ে আবহাওয়ার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়াও একটা চ্যালেঞ্জিং।সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে টাইগাররা নিজেদের সেরাটা খেলতে পারবেন কিনা তা নিয়ে রয়েছে শঙ্কা।
বিশ্বকাপ খেলতে যাওয়ার আগে আজ মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ফটোসেশনে অংশ নেন জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা।
এদিন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বলেন, ‘সাহস করে খেলতে হবে। টি-টোয়েন্টি এমন একটা খেলা, ভয় মাথায় ঢুকলে কখনো সফল হওয়া যাবে না। খুব চাপ যেন না হয়, স্বাধীনভাবে যেন নিজেদের খেলাটা খেলে।’
দল নিয়ে বিসিবি সভাপতির প্রত্যাশা, ‘প্রত্যাশা কম হওয়ার সুযোগই নেই। ওরা যেন ভালো খেলে। হার-জিত নিয়ে দেশের মানুষ মাথা ঘামায় না। দেশের মানুষও মাথা ঘামায় না।’
দীর্ঘদিন পর চোট থেকে ফিরে সদ্য শেষ হওয়া জিম্বাবুয়ে সিরিজে ৩ ম্যাচে ৮ উইকেট শিকার করেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। বিশ্বকাপ দলে তাকে না রাখা প্রসঙ্গে পাপন বলেছেন, ‘এখানে ইস্যুটা হচ্ছে আপনার… সাইফউদ্দিন থাকতেই পারত। মানে সাইফউদ্দিন থাকলেও কোনো সমস্যা হতো না। না থাকলেও যে একদম হুলুস্থূল কিছু হয়েছে, তা আমি মনে করি না। আমি মনে করি যে তিন পেসার খেলাবে। সেখানে প্রথম পছন্দ অবশ্যই থাকবে তাসকিন, মোস্তাফিজুর ও শরীফুল। এখানে আরেকজনের ঢোকার সম্ভাবনা খুবই কম।’