দাপট দেখিয়েই গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বাংলাদেশ। জিতেছিল তিন ম্যাচের সবগুলো।
নিগার সুলতানা জ্যোতিদের দাপট থাকল সেমিফাইনালেও, আগের তুলনায় একটু কম অবশ্য। তবে এলো দারুণ এক জয়।
শুক্রবার সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবিতে আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বাছাই পর্বে থাইল্যান্ড নারী দলকে ১১ রানে হারিয়েছে বাংলাদেশ নারী দল। ফাইনালে উঠায় নিশ্চিত হয়েছে আসন্ন বিশ্বকাপ খেলা।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা মন্দ হয়নি বাংলাদেশের। ৩৪ রানের উদ্বোধনী জুটি পায় টাইগ্রেসরা। ১৭ বলে ১১ রান করে আউট হন ফারজানা হক। আরেক উদ্বোধনী ব্যাটার মুর্শিদা খাতুন ২ চারে ৩৫ বলে ২৬ রান করে রান আউটে কাটা পড়েন।
টুর্নামেন্টজুড়ে বাংলাদেশের রান বাড়ানোর কাজটা করে আসছিলেন অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি, বেশ দ্রুতগতিতেই রান তুলেছেন তিনি। কিন্তু থাইল্যান্ডের বিপক্ষে পারেননি। ২ চারে ২৪ বলে ১৭ রান করে সাজঘরে ফেরত যান তিনি।
শেষ অবধি রুমানা হকের ২৪ বলে ২৮ ও রিতু মণির ১০ বলে ১৭ রানের ইনিংসের কল্যাণে ভালো সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ। নির্ধারিত ২০ ওভার ব্যাট করে ৫ উইকেট হারিয়ে ১১৩ রান করতে পারে টাইগ্রেসরা।
জবাব দিতে নেমে ১৩ রানের ভেতরই দুই উইকেট হারিয়ে ফেলে থাইল্যান্ডের মেয়েরা। দারুণ বোলিংয়ে তাদের কোণঠাসা করে রাখেন সানজিদা আক্তার মেঘলা ও সালমা খাতুন। থাইল্যান্ডের হয়ে একাই লড়াই করেন নাথাকান চানথাম।
৪ চার ও ৩ ছক্কায় ৫১ বলে ৬৪ রান করে সালমা খাতুনের বলে বোল্ড হন তিনি। ম্যাচ হারলেও সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জিতেছেন চানথাম। বাংলাদেশের পক্ষে ৪ ওভারে ১৮ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন সালমা, ৪ ওভারে ১ মেডেনসহ ৭ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন মেঘলা। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১০২ রানের বেশি করতে পারেনি থাইল্যান্ড।
বাংলাদেশের ফাইনালের প্রতিপক্ষ আয়ারল্যান্ড নারী দল। তাদের গ্রুপ পর্বে একবার হারিয়ে এসেছে জ্যোতির দল। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লড়াইয়ে আগামীকাল বাংলাদেশ সময় ৯টায় আইরিশদের বিপক্ষে আবার খেলতে নামবে টাইগ্রেসরা।