তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আমাদের সিনেমা শিল্প আবার ঘুরে দাঁড়িয়েছে। এখন অনেক সিনেমা হচ্ছে। আমাদের লক্ষ্য বিশ্ব অঙ্গনে জায়গা করে নেওয়া। বাড়ানো হয়েছে সিনেমার অনুদান। এ বছর ২৩টি পূর্ণদৈর্ঘ্য ছবিতে অনুদান দেওয়া হয়েছে। আগে ১০টাতে দেওয়া হতো। তবে সিনেমা শিল্প কখনো অনুদাননির্ভর হতে পারে না, সে কথাও তিনি স্মরণ করিয়ে দেন।
বুধবার দুপুরে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন-বিএফডিসিতে প্রয়াত চিত্রনায়ক ও সংসদ সদস্য আকবর হোসেন পাঠান ফারুক স্মরণে সম্মিলিত চলচ্চিত্র পরিষদ আয়োজিত হৃদয়ে জাগ্রত তুমি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, করোনায় আমাদের আড়াই বছর মন্দা গেছে। এখন মহামারি কেটে গেছে, আবার সিনেমা শিল্প ঘুরে দাঁড়িয়েছে। প্রদর্শক সমিতি বলছে, এখন অনেক সিনেমা হচ্ছে। সিনেপ্লেক্সে-সিনেমা হল নির্মাণ ও পুন:নির্মাণের জন্য স্বল্পতম সুদে এক হাজার কোটি টাকার ঋণ তহবিল হয়েছে। এক হাজার আসনের মিলনায়তন, চারটি শুটিং ফ্লোর, দুটি সিনেপ্লেক্সে, দুটি সুইমিংপুলসহ বিএফডিসিতে নতুন কমপ্লেক্স নির্মাণ হচ্ছে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের পরিচালকরা, অভিনয়শিল্পীরা, কলাকুশলীরা যেভাবে কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক পুরস্কার পাচ্ছেন, তা তাদের মেধার পরিচয়। এ মেধা কাজে লাগালে আমাদের সিনেমা শিল্প বিশ্ব অঙ্গনেও জায়গা করে নেবে। আসুন সবাই মিলে সেই লক্ষ্য নিয়ে কাজ করি।
সম্প্রচারমন্ত্রী এ সময় চিত্রনায়ক ফরুকের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানান। তিনি বলেন, ফারুক ভাই অনেক কালজয়ী ছবিতে অভিনয় করেছেন। বিশেষ করে গোলাপী এখন ট্রেনে, সারেং বৌ, সুজন সখী সিনেমাগুলো তাকে বাঁচিয়ে রাখবে। সহজাত নেতৃত্বের এ মানুষটি মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন, সংসদ সদস্য ছিলেন এবং সবাইকে আপন করে নিতে পারতেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, আমি কখনো ভাবিনি যে ফারুক ভাই এতো তাড়াতাড়ি চলে যাবেন। কারণ আপতদৃষ্টিতে তাকে অসুস্থ মনে হতো না। প্রায় দুই বছর তিনি সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন ছিলেন। মাঝেমধ্যে আমি খবর নিতাম। শেষপর্যন্ত তিনি আমাদের ছেড়ে চলে গেলেন। তিনি চলচ্চিত্রে আজীবন সম্মাননা পেয়েছেন। চলচ্চিত্র শিল্পের উন্নয়নের জন্য সারাজীবন কাজ করে গেছেন। আমরা তাকে ভুলব না।
সম্মিলিত চলচ্চিত্র পরিষদের আহবায়ক খোরশেদ আলম খসরুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় সদস্য সচিব শাহ আলম কিরণ, যুগ্ম আহবায়ক কাজী হায়াৎ, অভিনয়শিল্পী রোজিনা, রিয়াজ, অরুণা বিশ্বাস, নিপুণ, পরিচালক মুশফিকুর রহমান গুলজার, প্রযোজক-পরিবেশক মোহাম্মদ হোসেন, চিত্রগ্রাহক আব্দুল লতিফ বাচ্চু, সম্পাদক আবু মুসা দেবু, বিএফডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুজহাত ইয়াসমিন তাদের বক্তব্যে চিত্রনায়ক ফারুকের স্মৃতিচারণ ও তার আত্মার শান্তি কামনা করেন। চলচ্চিত্র অঙ্গনের বিশিষ্টজনরা অনুষ্ঠানে যোগ দেন।