আন্তর্জাতিক

ব্রিটেনে সরকারি চাকুরেদের বেতন না বাড়ানোর ইঙ্গিত

ব্রিটেনে সহসা বাড়ছে না সরকারি খাতের বেতন। দেশটির প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক সরকারি খাতে বেতন বাড়ানোর সুপারিশ উপেক্ষার ইঙ্গিত দিয়েছেন।

যদিও কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা দাবি করছেন তারা চরম অর্থনৈতিক সংকটে রয়েছেন।
সম্প্রতি প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী দেশে ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতি মোকাবিলার জন্য সরকারি খাতের বেতন সংস্থাগুলোর প্রস্তাব বাতিলের পরিকল্পনা করেছেন।

এ ব্যাপারে স্বাস্থ্যমন্ত্রী হেলেন হোয়াটলি সোমবার (২৬ জুন) সকালে স্কাই নিউজের সঙ্গে সাক্ষাৎকারের সময় এ বিষয়ে উন্নতির কোনো প্রতিশ্রুতি দিতে অস্বীকার করেন।

ইউনিয়ন এবং বিরোধী দলগুলো এমন সিদ্ধান্তের কঠোর সমালোচনা করে বলেছে, মুদ্রাস্ফীতি নার্স এবং শিক্ষকদের মজুরি দ্বারা চালিত হচ্ছে না। বরং ১৩ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা রক্ষণশীলদের দ্বারা নেওয়া সিদ্ধান্তে অর্থনীতি পরিচালিত হচ্ছে।

আজ প্রশ্ন উঠেছে, সরকারি খাতের বেতন মূল্যস্ফীতির একটি প্রধান চালিকা শক্তি কিনা। এ ব্যাপারে ঋষি সুনাক বলেন, সরকারি ঋণ মুদ্রাস্ফীতিকে আরও খারাপ করে তুলবে। আমাদের নিজস্ব সম্পদ কোথায় সবচেয়ে ভালোভাবে কাজে লাগিয়ে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা যায়, সে বিষয়ে সরকারকে অগ্রাধিকারের সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আর সেই কারণেই যখন সরকারি খাতের বেতনের কথা আসে। আমাদের ন্যায্য হতে হবে, সেই সঙ্গে আমাদের আরও দায়িত্বশীল হতে হবে।

গত বছর থেকেই যুক্তরাজ্যে আইনজীবী, ফেরিঘাটের শ্রমিক ও অন্য শিল্প খাতের কর্মীরা বেতন বাড়ানোর দাবিতে ধর্মঘট শুরু করেন। সেই ধর্মঘট ছড়িয়ে পড়ে স্বাস্থ্যখাত ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণেও।

তখন স্বাস্থ্যকর্মীরা বলেন, তারা যা বেতন পান, তা দিয়ে মুদ্রাস্ফীতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে পারছেন না। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম লাগাম ছাড়া। দৈনন্দিন জীবন যাপন করতে তাদের ভয়াবহভাবে লড়াই করতে হচ্ছে।

ওই সময় প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক বেতন বাড়ানোকে ‘যুক্তিসংগত’ বলেছেন। তবে তিনি একই সঙ্গে সবাইকে সাশ্রয়ী হওয়ারও আহ্বান জানান। তিনি বলেন, এ মুহূর্তে বেতন বাড়ালে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা বিপন্ন হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *