প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, করোনা মোকাবিলায় ব্যর্থ হলে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিসটেন্স (এএমআর) এর মাধ্যমে ভবিষ্যতে বিশ্বে নতুন মহামারি আসতে পারে। এজন্য বৈশ্বিকভাবে বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
বৃহস্পতিবার (২৯ এপ্রিল) এএমআর নিয়ে জাতিসংঘে গ্লোবাল লিডার্সের এক উচ্চপর্যায়ের মতবিনিময় সভার ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় তিনি এর বিরুদ্ধে লড়তে প্রয়োজনীয় কিছু প্রস্তাব করেছেন। এগুলো হচ্ছে, ভালো মানের গবেষণাগার, সাশ্রয়ী এন্টিবায়োটিক, টেকসই অর্থায়ন ইত্যাদি।
শেখ হাসিনা বলেন, এএমআরের কারণে ভবিষ্যতে আরও মারাত্মক মহামারি হতে পারে। এই বিপদ সময়মতো মোকাবিলা করতে ব্যর্থ হওয়ার ফলে মানবজীবন, প্রাণী ও উদ্ভিদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ঘটবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) এক অনুমান অনুসারে, এএমআর থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে প্রতি বছরে ১০ মিলিয়ন মানুষ মারা যাবে এবং অর্থনৈতিক ক্ষতি হতে পারে ট্রিলিয়ন ডলারে, যা খাদ্য সুরক্ষা ও এসডিজির অর্জন এবং সার্বজনীন স্বাস্থ্য কভারেজের দিকে অগ্রগতিকে ব্যাহত করবে।
ভাষণে বঙ্গবন্ধুকন্যা আরো বলেন, গ্লোবাল একশন প্ল্যান ২০২৬ অনুযায়ী কাজ করতে বাংলাদেশ প্রস্তুত। প্রতিরোধের ফলে এন্টিবায়োটিক ও অন্যান্য ওষুধ অকার্যকর হয়ে পড়লে ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস, ছত্রাক এবং পরজীবী সময়ের সাথে পরিবর্তন হয়। তখন অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স (এএমআর) ঘটে।
এর আগে, করোনাভাইরাস মহামারীর সঙ্কট থেকে দ্রুত উত্তরণে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনকে (ইএসসিএপি/এসকাপ) চারটি পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার (২৬ এপ্রিল) কমিশনের ৭৭তম অধিবেশনে দেওয়া ভাষণে তিনি রাষ্ট্রনেতাদের সামনে এই চার দফা প্রস্তাব রাখেন।
এসকাপের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর চার পরামর্শ হলো, ১. কোভিড মহামারি থেকে দ্রুত উত্তরণে উন্নত বিশ্ব, উন্নয়ন অংশীদার এবং আইএফআই’র এগিয়ে আসা উচিত, ২. যেকোনো সংকট থেকে ‘আরও ভালোভাবে উত্তরণের’ জন্য উন্নয়ন পদ্ধতি আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক, স্থিতিস্থাপক ও পরিবেশবান্ধব হওয়া উচিত, ৩. এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে একটি শক্তিশালী ও সার্বজনীন জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থার জন্য দক্ষ নীতি ও কৌশল গ্রহণ করা উচিত, ৪. আমাদের বাণিজ্য, পরিবহন, শক্তি এবং আইসিটি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে বিরামবিহীন যোগাযোগ স্থাপন করা দরকার।