জাতীয়

ভারতে পালাতে গিয়ে ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক পান্না নিহত

বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ইসহাক আলী খান পান্না ভারতে পালানোর সময় দেশটির সীমান্ত রক্ষী বাহিনী- বিএসএফের গুলিতে নিহত হয়েছেন।

শনিবার সকালে ভারতের মেঘালয় সীমান্তে এ ঘটনা ঘটেছে বলে একটি সূত্রে জানা গেছে।

ইসহাক আলী খান পান্নার ভাগনে কাউখালী উপজেলার চিড়াপাড়া পার সাতুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও কাউখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক লাইকুজ্জামান তালুকদার মিন্টু দাবি করেন, আমার মামা পান্না শনিবার সকালে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের শিলংয়ে একটি পাহাড় থেকে পা পিছলে পড়ে হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন।

তবে তিনি কবে, কখন, কীভাবে শিলং গিয়েছিলেন সে বিষয়ে কিছু জানাতে পারেননি তালুকদার মিন্টু।

পান্নার ঘনিষ্ঠ একাধিক সূত্র জানিয়েছে, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদক মণ্ডলীর এক সদস্যের সঙ্গে তিনি সিলেট সীমান্তের কানাইঘাট উপজেলার একটি নির্জন এলাকা দিয়ে স্থানীয় চোরা কারবারিদের সহায়তায় সীমানা অতিক্রম করে ভারতে যাওয়ার চেষ্টা চালান। রাত ৩টার দিকে তারা দোনা সীমান্ত পেরিয়ে একটি নির্জন পাহাড়ি এলাকা দিয়ে হাটার সময় বিএসএফের গুলির মুখে পড়েন। তখন হৃদযন্ত্র ক্রিয়া বন্ধ হয়ে পাহাড় থেকে নিচে পড়ে ইসহাক আলী মারা যান।

জানা গেছে, তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা ছিল না। ধারণা করা হচ্ছে, দেশে বিরাজমান পরিস্থিতিতে নিরাপত্তাশঙ্কায় দেশ ছাড়ছিলেন তিনি। তবে এ ব্যাপারে নিশ্চিত কিছু জানা যায়নি।

এদিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি ছবি অনেকেই শেয়ার দিয়ে সেটি ইসহাক আলী পান্নার বলে দাবি করছেন। ওই ছবিতে পান্নাকে কালো টি-শার্ট ও কালো প্যান্ট পরিহিত অবস্থায় মাটিতে পড়ে থাকতে দেখা যায়। তার পা থেকে রক্ত প্রবাহিত হয়েছে। পিঠের কাছে রক্তের ছোপও দেখা গেছে।

ইসহাক আলী খান পান্না ১৯৯৪ সালে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ২০১২ সালের সম্মেলনের পর ইসহাক আলী খান পান্না আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপকমিটির সহসম্পাদক হন।

উল্লেখ্য, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের দিন পিরোজপুরে পান্নার ব্যয়বহুল বাড়িতে ছাত্র-জনতা হামলা করে ভাঙচুর, লুটপাট ও আগুন ধরিয়ে দেয়। এরপর তিনি ঢাকায় আত্মগোপনে ছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *