ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ কামরুন নাহার এবং একজন অভিভাবকের ফোনালাপ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ফাঁস হওয়ায় এখন সমালোচনার ঝড় বইছে।
ফোনালাপের সময় অধ্যক্ষ কামরুন নাহার কথা বলার এক পর্যায়ে একজন অভিভাবককে বলেন, ‘আমি বালিশের নিচে পিস্তল রাখি। কোনো … বাচ্চা যদি আমার পেছনে লাগে আমি কিন্তু ওর পেছনে লাগবো, আমি শুধু ভিকারুননিসা না, আমি দেশছাড়া করবো।’
৪ মিনিট ৩৯ সেকেন্ডের অডিওতে অধ্যক্ষের সঙ্গে অভিভাবক ফোরামের নেতা মীর সাহাবুদ্দিন টিপুর মধ্যে চলা ঐ কথোপকথনে কামরুন নাহার বলেন, ‘লকডাউনের মধ্যে আমি অফিস করি কি না করি কার বাপের কী? আমি রাজনীতি করা মেয়ে, আমি কিন্তু ভদ্র না।’ কামরুন নাহার ফোনালাপে আরো বলেন, ‘আমি বলে দিলাম, আমি শিক্ষক। আমি প্রিন্সিপাল। ঐ … পোলা যদি আমার পেছনে লাগে আমি কিন্তু তার গোষ্ঠী উদ্ধার করে ছাড়বো।’
কামরুন নাহার শিক্ষা ক্যাডারের একজন কর্মকর্তা। গত বছরের ২৯ ডিসেম্বরে তাকে এই পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। কামরুন নাহারের পূর্বেও এই প্রতিষ্ঠানে শিক্ষা ক্যাডারের একজন কর্মকর্তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু পরিচালনার ক্ষেত্রে ব্যর্থতার কারণে ঐ অধ্যক্ষকেও প্রত্যাহার করা হয়েছিল।
অধ্যক্ষ ও অভিভাবক ফোরাম নেতার ঐ কথোপকথন নিয়ে বিব্রত ভিকারুননিসার শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। এর মাধ্যমে ভিকারুননিসার দীর্ঘদিনের সুনাম ও ঐতিহ্যের ওপর আঘাত এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন কেউ কেউ। এ বিষয়ে অধ্যক্ষ অধ্যাপক কামরুন নাহারের মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তা বন্ধ পাওয়া গেছে।