আগের দুই ম্যাচের কোনোটিতেই ব্যাটিং ছিল না আশা জাগানিয়া। শেষদিনে এসে ৪১৪ রান এমনিতেই প্রায় অসম্ভব, দশ উইকেট হাতে নিয়েও ম্যাচ বাঁচানোটা ছিল বেশ কঠিন।
সেটি করতে পেরেছে স্বাগতিকরা। মাহমুদুল হাসান জয় সেঞ্চুরি করেছেন, পুরো দিনে কেবল ৪ উইকেট হারানো বাংলাদেশ ম্যাচ ড্র করেছে।
সিলেটে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ‘এ’ দলের বিপক্ষে তিনটি চারদিনের ম্যাচের সিরিজের শেষটিতে মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ ‘এ’ দল। শেষ ম্যাচটি ড্র হয়েছে। এর আগে প্রথম ম্যাচ ড্র হলেও দ্বিতীয়টিতে জয় পায় ক্যারিবীয়রা।
তৃতীয় চারদিনের ম্যাচে টস জিতে ব্যাট করে প্রথম ইনিংসে ৪৪৫ রানের বড় সংগ্রহ পায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। জবাবে বাংলাদেশ অলআউট হয়ে যায় ২০৫ রানে। দ্বিতীয় ইনিংসে ৫ উইকেট হারিয়ে ২২০ রানে ইনিংস ঘোষণা করে সফরকারীরা। বড় রান তাড়া করতে নেমে ৪ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ ৩০৪ রান তুললে ম্যাচ ড্র ঘোষণা করা হয়।
কোনো উইকেট না হারিয়ে ৪৭ রান নিয়ে চতুর্থ দিন শুরু করেছিল বাংলাদেশ। মাহমুদুল হাসান জয় ২৮ ও জাকির হাসান ১৪ রান নিয়ে দিন শুরু করেন। হাফ সেঞ্চুরি থেকে ৭ রান দূরে থাকতে সাজঘরে ফেরত যান জাকির। ৬ চারে ৯৫ বলে ৪৩ রান করে কেভিন সিনক্লেয়ারের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন তিনি।
সাবেক টেস্ট অধিনায়ক ও সাদা পোশাকে জাতীয় দলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ব্যাটার মুমিনুল হক প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয়টিতেও খুব বড় কিছু করতে পারেননি। ১২ বলে ৫ রান করে সিনক্লেয়ারের বলে এলবিডব্লিউ হন তিনি।
এরপর অধিনায়ক সাইফ হাসানের সঙ্গে ৪৭ রানের জুটি গড়েন মাহমুদুল। ৫ চার ও ১ ছক্কায় ৪৯ বলে ৩৮ রান করে সাইফ আউট হন। তারপর ইয়াসির আলি রাব্বির সঙ্গে বড় জুটি হয় মাহমুদুলের। এর মধ্যে মাহমুদুল পান সেঞ্চুরির দেখা।
ধৈর্য ও ম্যাচ বাঁচানোর তাড়না ছিল তার পুরো ইনিংসে। ১৪ চারের ইনিংসে ২৬৮ বল খেলে ১১৪ রান করেন ডানহাতি এই ব্যাটার। ৬ চারে ৮৫ বলে ৬৭ রান করে অবশ্য ইয়াসির আউট হন সিনক্লেয়ারের বলে। দিনের বাকি সময় মাহমুদুলের সঙ্গী ছিলেন শাহাদাৎ হোসেন দীপু। ৩৯ বলে তিনি ২০ রান করেন তিনি।