কিংবদন্তি ফুটবল তারকা দিয়েগো ম্যারাডোনার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী কিনা সে প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে আর্জেন্টিনার পুলিশ। এই তদন্তের অংশ হিসেবে তার চিকিৎসকের বাড়ি এবং কার্যালয়ে তল্লাশি চালানো হয়েছে।
স্থানীয় সময় রোববার বুয়েন্স আয়ার্সে ওই চিকিৎসকের বাড়ি ও কার্যালয়ে এই তল্লাশি চালানো হয় বলে বিবিসি জানিয়েছে।
গত বুধবার বাড়িতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ৬০ বছর বয়সে চিরবিদায় নেন ফুটবলের জাদুকর ম্যারাডোনা।
পুলিশ জানিয়েছে, ম্যারাডোনার চিকিৎসক লিওপোলোডো লুকিউর বাড়ি এবং কার্যালয়ে তল্লাশি চালানো হয়েছে। ম্যারাডোনার চিকিৎসকায় অবহেলা ছিল কিনা- সেটাই তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
মৃত্যুর আগে ম্যারাডোনাকে কী ওষুধ দেওয়া হয়েছিল তা জানতে চেয়েছেন তার মেয়ে। এতেই বোঝা যায়, ম্যারাডোনার মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হতে তার পরিবার আরও খোঁজখবর চাইছে। এমন পরিস্থিতিতেই তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
বেশ কিছুদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন ম্যারাডোনা। পরিবার থেকে বুয়েন্স আয়ার্সের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তাকে। জটিল অস্ত্রোপচার করা হয়েছিল তার মস্তিস্কে। একটু সুস্থ হতেই বাড়ি ফেরেন ম্যারাডোনা। পরে বাড়িতেই মৃত্যু হয় তার।
১৯৮৬ বিশ্বকাপে ম্যারাডোনা মনোমুগ্ধ করেন গোটা বিশ্বকে, যার ছোঁয়া লেগেছিল বাংলাদেশেও। মূলত ওই বিশ্বকাপ থেকেই, ওই প্রজন্ম থেকেই এ দেশে বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার পতাকা ওঠে ছাদে। ম্যারাডোনার ওই বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তার ‘হ্যান্ড অব গড’ গোলটি আইকনিক হয়ে ওঠে।
১৯৯০ বিশ্বকাপেও তিনি আর্জেন্টিনাকে ফাইনালে তুলেছিলেন। কিন্তু সেরা হতে পারেননি। ১৯৯৭ সালে ফুটবলকে বিদায় জানানোর পর কোচিং শুরু করেছিলেন। ২০০৮ থেকে ২০১০ পর্যন্ত মেসিদেরও কোচ ছিলেন।