দেশের প্রতি দায়িত্ববোধ থেকে রাজপথে আন্দোলন চালিয়ে যেতে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমরাও নির্বাচন চাই। তবে এবার আর যেনতেনভাবে নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না।
রোববার (১৫ অক্টোবর) রাজধানীর গুলশানে ‘দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে দেশীয়-আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ভূমিকা ও এই মুহূর্তে আমাদের করণীয়’ শীর্ষক সেমিনার এবং ‘নো কমেন্টস’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা বিশ্বের সমর্থন সরকার পতনের চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলনে সবাইকে সাহস জোগাচ্ছে।
ক্ষমতাসীনদের প্রতি ইঙ্গিত করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, তোমরা যে যা বলো ভাই, আমার সোনার হরিণ চাই। আমরা যে যা বলছি, উনি (প্রধানমন্ত্রী) ওনার মতোই ভাবছেন। প্রধানমন্ত্রী জবরদখল করে ক্ষমতায় বসে আছেন।
বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, ক্ষমতাসীনরা যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) কাউকে তোয়াক্কা করছে না। সরকারের বিরুদ্ধে আবারও পাতানো নির্বাচনের পাঁয়তারা করার অভিযোগ তোলেন তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা সবাই এবার রাজপথে নেমে গেছি। আমাদের দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে কোনো হতাশা নেই। যারা মাঠে আছে, তাদের মধ্যে হতাশা থাকে না। যুগপৎ আন্দোলন যারা করছি, তাদের মধ্যেও কোনো হতাশা নেই। আমাদের কত নেতাকর্মী জীবন দিচ্ছে। তবুও হতাশা নেই। বিজয় আমাদের হবেই। আমাদের নেত্রী, এই অবস্থায়ও আপস করেননি। নেতাকর্মীরাও আপস করবেন না।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগের মতোই নির্বাচন করতে চাচ্ছেন। ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতো এবার আর পারবেন না। বাকি সব রাজনৈতিক দল নিয়ে গণতন্ত্র রক্ষায় রাজপথে নেমেছি… লড়াই চালিয়ে যাবো… এ লড়াইয়ে আমরাই বিজয়ী হব।
রাজপথে ফয়সালার হুঁশিয়ারি দিয়ে মির্জা ফখরুল ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে আবারও সরকার পতনের ডাক দেন।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আব্দুল মঈন খান, মির্জা আব্বাস, সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান, বরকত উল্লাহ বুলু, ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না।