জাতীয়

রাজউকের আলোচিত ১৫ প্লটের অভিযোগ নিষ্পত্তি

রাজউকের বিতর্কিত তালিকাভুক্ত প্লট বরাদ্দের ক্ষেত্রে কোনো ধরনের অনিয়ম খুঁজে পায়নি দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ কারণে সংশ্লিষ্ট প্লটের বিষয়ে দুদকের অনুসন্ধান কার্যক্রম পরিসমাপ্ত করা হয়েছে।

সম্প্রতি দুদক সচিব খোরশেদা ইয়াসমিন স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ কথা বলা হয়।

সংশ্লিষ্টরা জানান, গত বছর রাজধানী ও আশপাশের কয়েকটি এলাকায় রাজউকের বেশকিছু প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির অভিযোগ চাউর হয়। পরবর্তী সময়ে এসব অভিযোগ তদন্তের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক। তবে দীর্ঘসময় চলা অনুসন্ধান শেষে সুনির্দিষ্টভাবে ১৫টি প্লটের ক্ষেত্রে কোনো অনিয়মের অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি। এ কারণে কমিশন কর্তৃক এ সংক্রান্ত অভিযোগ পরিসমাপ্তির সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। ৮ এপ্রিল দুদকের এক চিঠিতে বলা হয়, ‘আলোচ্য প্লটগুলোর বিষয়ে রাজউক তার নিজস্ব বিধান অনুসরণ করে পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারবে।’

জানা যায়, দুদক যেসব প্লটের বিষয়ে অভিযোগ অনুসন্ধান করে, সেগুলোর বেশির ভাগই রাজধানীর অভিজাত এলাকা গুলশান ও উত্তরায় অবস্থিত। এসব প্লটের মধ্যে অন্যতম গুলশান আবাসিক এলাকার সিডব্লিউএন (এ) ব্লকের ৪৯ নম্বর রোডের ২ নম্বর প্লট। শতকোটি টাকা মূল্যের জমিটি বিতর্কিত সম্পত্তি হিসাবে তালিকাভুক্ত করে রাজউক। এ নিয়ে গত বছর ২৪ নভেম্বর ‘কারসাজিতে বেদখল হাজার কোটি টাকার সম্পদ’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে । তবে শেষ পর্যন্ত এ প্লটের বিষয়ে ‘ক্লিন’ সার্টিফিকেট দিয়েছে দুদক।

এ প্রসঙ্গে প্লটটির মালিকপক্ষের একজন জানান, রেজিস্ট্রি দলিল মূলে সম্পত্তির মালিকানা প্রতিষ্ঠিত। ২০২২ সালের ২৯ ডিসেম্বর তার অনুকূলে গুলশান সাবরেজিস্ট্রি অফিস থেকে সাব কবলা দলিল সম্পাদিত হয়। পরে এ বিষয়ে রাজউকের যথাযথ অনুমোদনসহ নামজারি থেকে শুরু করে বৈধ মালিকানার সপক্ষে অন্য সব দাপ্তরিক কাজ সম্পন্ন হয়েছে। বর্তমানে জমিটিতে মালিকপক্ষ ভোগদখলরত আছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *