সব ঝামেলা মিটিয়ে এখন থেকে স্ত্রী পরীমনি ও ছেলে রাজ্যকে নিয়ে থাকার অঙ্গীকার করেছিলেন অভিনেতা শরিফুল রাজ। কিন্তু শুক্রবারই গুরুতর জখম হয়ে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। এদিন মধ্যরাত থেকে ফেসবুকের বিভিন্ন গ্রুপে শরিফুল রাজের রক্তাক্ত মাথার একটি ছবি ছড়িয়ে পড়ে।
এ ছাড়া শুক্রবার সন্ধ্যায় জ্বর-ঠান্ডা নিয়ে রাজধানীর ওই একই হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার খবর মেলে পরীমনির। কিন্তু পরে জানা যায় তিনি জ্বর না আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন।
এ ছাড়া একই সময় ওই একই হাসপাতালে ভর্তি হয়ে ফেসবুকে পোস্ট করেন ঢাকাই সিনেমার আরেক অভিনেত্রী তমা মির্জা।
এর পরই বিনোদনপাড়ার গুঞ্জন— শুক্রবার রাজধানীর নিকেতনে এক নির্মাতার অফিসে মারামারি হয় রাজ-পরীমনির।
পরীমনিকে চিকিৎসা দেওয়া রাজধানীর বেসরকারি হাসপাতাল এভারকেয়ার সূত্রে জানা গেছে, জ্বর নয়, কাটা হাত নিয়ে হাসপাতালে আসেন পরীমনি।
হাসপাতালের একাধিক সূত্র গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছে, শুক্রবার সন্ধ্যায় কাটা হাত নিয়ে হাসপাতালে আসেন পরীমনি। সেলাই না লাগলেও ক্ষতস্থানে ড্রেসিং করাতে হয়েছে। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে পরীমনি বসুন্ধরায় তার নিজ বাসায় চলে যান।
অন্যদিকে একই হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন শরিফুল রাজ। সেখানে তার মাথায় চারটি সেলাই করতে হয়েছে। চিকিৎসা শেষে তিনিও তার বাসায় চলে গেছেন।
একই হাসপাতালে ১০৪ ডিগ্রি জ্বর নিয়ে ভর্তি হয়েছিলেন তমা মির্জা। শোনা যাচ্ছে, জ্বর নয়, ওই দিন রাজ-পরীমনির মারামারি থামাতে গিয়ে আহত হন তমা।
তবে এসব বিষয় নিয়ে রাজ, পরীমনি কিংবা তমা কেউই কিছু নিশ্চিতভাবে না বলা পর্যন্ত এই ধোঁয়াশা কাটবে না।