তুরস্কের ইস্তানবুলে শুক্রবার শস্য চুক্তি করে রাশিয়া-ইউক্রেন। এ চুক্তিতে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করে তুরস্ক এবং জাতিসংঘ।
যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর ইউক্রেনে প্রায় ২০ মিলিয়ন টন খাদ্যশস্য আটকে আছে। এখন প্রতি মাসে ৫ মিলিয়ন টন করে শস্য বিশ্ব বাজারে রপ্তানি করা হবে।
কিছু শর্ত মেনে নিয়ে দুই দেশ এ চুক্তিতে সম্মত হয়েছে। একজন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে শর্তগুলো প্রকাশ করেছে গণমাধ্যম সিএনএন।
শর্তগুলো হলো-
শস্যবহনকারী জাহাজগুলো কৃষ্ণ সাগরের নির্ধারিত নিরাপদ করিডর দিয়ে যাতায়াত করতে পারবে। শস্য বোঝাই করে বসফরাস প্রণালী দিয়ে বিশ্ব বাজারে যাবে এগুলো।
জাহাজগুলোতে নজরদারি করার জন্য একটি জয়েন্ট কর্ডিনেশন সেন্টার গঠন করা হবে। যেটি তাৎক্ষণিকভাবে তুরস্কে স্থাপন করা হবে। এই সেন্টারে থাকবে ইউক্রেন, রাশিয়া, তুরস্ক এবং জাতিসংঘের প্রতিনিধিরা।
জাহাজ ইউক্রেনে ঢোকা বা পৌঁছানোর আগে রাশিয়া, ইউক্রেন, তুরস্ক এবং জাতিসংঘের কর্মকর্তারা নিশ্চিত করবেন এসব জাহাজে কোনো অস্ত্র পরিবহণ করা হচ্ছে না।
ইউক্রেন-রাশিয়া সম্মত হয়েছে, শস্য পরিবহনের কাজে নিয়োজিত কোনো জাহাজে হামলা করবে না। যদি এমন কোনো ঘটনা ঘটে তাহলে জয়েন্ট কর্ডিনেশন সেন্টার বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করবে এবং সমাধানের চেষ্টা করবে।
শস্য পরিবহনের কাজটি দ্রুত শুরু করতে হবে। যেন নতুন শস্য আসার আগে ইউক্রেনের শস্য ভাণ্ডারগুলো খালি করা যায়।
ওই কর্মকর্তা আরও জানিয়েছেন, আন্তর্জাতিক মেরিটাইম অর্গানাইজেশন জাহাজগুলোর চলাচলের বিষয়টি দেখভাল করছে।
তিনি আরও জানিয়েছেন, শস্য রপ্তানির কাজটি শুরু করতে কয়েক সপ্তাহ সময় লাগতে পারে। যেন সকল লজিস্টিক বিষয়গুলো পুরোপুরিভাবে কার্যকর করা যায় এবং একটি নজরদারি করার দল গঠন করা যায়।
এদিকে ইউক্রেনের অবকাঠামো মন্ত্রী যিনি ইউক্রেনের পক্ষে চুক্তিটি স্বাক্ষর করেছেন তিনি একটি ফেসবুক পোস্টে বলেছেন, চুক্তিটির বৈধতা ১২০ দিন। এরপর মেয়াদ শেষ হওয়ার পর নতুন করে আরও ১২০ দিনের জন্য মেয়াদ বাড়ানো যাবে, যদি দুই পক্ষই রাজি থাকে।