এক মাস পর দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আবার ৩০ বিলিয়ন ডলারের ঘর অতিক্রম করল। বৃহস্পতিবার দিনের শুরুতে রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ২ কোটি ডলারে।
এর আগে ২২ মে রিজার্ভ ছিল ৩ হাজার ৬ কোটি ডলার। এর পরের দিন রিজার্ভ কমে ২ হাজার ৯৯৮ কোটি ডলারে নেমে আসে। এরপর থেকে প্রায় এক মাস রিজার্ভ ছিল ২৯ বিলিয়ন (১০০ কোটিতে এক বিলিয়ন) ডলারের ঘরে। মে ও জুনের এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) দেনা বাবদ ১১৮ কোটি ডলারের মতো পরিশোধ করতে হবে জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে। তখন রিজার্ভ আবার কমে যেতে পারে।
সূত্র জানায়, রিজার্ভ ধরে রাখার জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক সাম্প্রতিক সময়ে ডলার বিক্রি কমিয়ে দিয়েছে। একই সঙ্গে ব্যাংকগুলোকে বলেছে নিজস্ব উৎস থেকে ডলার সংগ্রহ করে আমদানির দায়, বৈদেশিক ঋণ পরিশোধ করতে। এজন্য রেমিট্যান্স সংগ্রহ বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছে।
বর্তমানে কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভ থেকে আমদানির ডলার বিক্রি কমিয়ে দেওয়ায় এলসি খোলার প্রবণতা যেমন কমেছে, তেমনই ব্যাহত হচ্ছে আগের এলসির দেনা পরিশোধ। ফলে ব্যাংকগুলো এখন এলসির অর্থ পরিশোধের মেয়াদ বাড়াচ্ছে।
বুধবার সংসদে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, রিজার্ভে স্বস্তি ফেরাতে আমদানিতে নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হয়েছে। রেমিট্যান্স বাড়ানোর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
এদিকে কেন্দ্রীয় আসন্ন কুরবানির ঈদ উপলক্ষ্যে রেমিট্যান্স প্রবাহ আগের চেয়ে কিছুটা বেড়েছে। ফলে রিজার্ভে কিছু ডলার যোগ হচ্ছে। এতে রিজার্ভ কিছুটা বেড়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক আশা করছে, ঈদের পর বৈদেশিক ঋণের কিছু অর্থ ছাড় হবে। ফলে রিজার্ভ বাড়তে পারে।