‘রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ বাংলাদেশের গর্বের একটি প্রকল্প। এই নিউক্লিয়ার প্রকল্প বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশের মর্যাদা অনেক বাড়িয়ে দিয়েছে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রয়াস আজ দৃশ্যমান হয়েছে।’ শুক্রবার পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন এমপি’র নেতৃত্বে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ৪৮ সদস্যের ( সিনিয়র সচিব, অতিরিক্ত সচিব, কয়েকজন মহাপরিচালকসহ) একটি টিম ঈশ্বরদীর রূপপুরে নির্মাণাধীন পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প পরিদর্শন শেষে সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের এক প্রেসব্রিফিং-এ একথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, এখানে ডিপ্লোম্যাটদের নিয়ে এসে আমার খুব ভালো লাগলো। এই প্রকল্প থেকে সস্তায় মাত্র ৪.৫০ টাকা ইউনিটে এবং দীর্ঘমেয়াদে আরো সস্তায় বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে। কম দামে বিদ্যুৎ দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের গতিকে আরও বাড়িয়ে দিতে সক্ষম হবে। এসময় তিনি স্বল্প সময়ে প্রকল্পের কাজে অভূতপূর্ব অগ্রগতিতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান, প্রকল্প পরিচালক ড. শৌকত আকবরসহ সংশ্লিষ্ঠ সকলের অবদান রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এখানে বর্তমানে ১৪ হাজার দেশীয় মানুষ প্রতিদিন কাজ করছে। করোনা পরিস্থিতিতে প্রকল্পের কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে।
মন্ত্রী আব্দুল মোমেন জানান, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নতুন কর্মসূচি প্রণয়ন করে ছুটির দিনে মন্ত্রণালয়ের ডিপ্লোম্যাটদের নিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানের উন্নয়ন কর্মকান্ড স্বচক্ষে দেখার ব্যবস্থা করেছে। তারই ধারাবাহিকতায় দেশের প্রথম পারমাণবিক প্রকল্প পরিদর্শন। এই কর্মসূচির কারণে ডিপ্লোম্যাটরা যখন বিদেশে কোন মিশনে দায়িত্ব পালন করবে, তখন দেশের অভাবনীয় উন্নয়ন ও সাফল্য তুলে ধরতে পারবে।
এসময় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান বলেন, বাংগালির আর কিছু থাক আর না থাক হৃদয় আছে। আর হৃদয়ের ভালোবাসা ও এলাকার মানুষের আন্তরিকতার কারণেই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের রূপপুর প্রকল্প আজ দৃশ্যমান।
এসময় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ইতি রানী পোদ্দার, প্রকল্প পরিচালক ড. শৌকত আকবর, প্রকল্পের সাইট ইনচার্জ রুহুল কুদ্দুসসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।