একবারে পাঁচ লাখ টাকার বেশি রেমিট্যান্সের বিপরীতে প্রণোদনার ক্ষেত্রে শর্ত শিথিল করলো বাংলাদেশ ব্যাংক। এখন থেকে রেমিট্যান্স প্রেরণকারীর পরিবর্তে এখানকার সুবিধাভোগী প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিলেই চলবে। আর রেমিট্যান্স প্রেরণকারী ও আহরণকারী ব্যাংক একই হলে ওই ব্যাংককই রেমিটারের কাগজপত্র সংগ্রহ ও যাচাইয় সম্পন্ন করে সুবিধাভোগিকে প্রণোদনা দেবে।
বুধবার এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করে ব্যাংকগুলোতে পাঠানো হয়।
সার্কুলারে বলা হয়েছে, পাঁচ হাজার মার্কিন ডলার বা ৫ লাখ টাকার বেশি রেমিট্যান্সে ২ শতাংশ প্রণোদনার ক্ষেত্রে বিদেশি এপচেঞ্জ হাউজ থেকে রেমিটারের কাগজপত্র পাঠানোর বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এই নিয়ম শিথিল করে এখানকার সুবিধাভোগি ব্যাংক শাখায় রেমিটারের কাগজপত্র জমা দেওয়ার বিধান করা হলো। ব্যাংক দ্রুত নগদ সহায়তার অর্থ ছাড় করার জন্য নিজ দায়িত্বে ওই কাগজপত্র যাচাই করে রেমিট্যান্স বিদেশি ব্যাংকের কাছে কনফার্মেশন পাঠাবে। উক্ত কনফার্মেশনের ভিত্তিতে এখানকার ব্যাংক দ্রুত নগদ সহায়তা ছাড় করবে।
বৈধ পথে রেমিট্যান্সে উৎসাহিত করতে ২০১৯-২০ অর্থবছর থেকে যেকোনো পরিমাণ রেমিট্যান্সে ২ শতাংশ হারে প্রণোদনা দিচ্ছে সরকার। তবে একবারে কেউ পাঁচ লাখ টাকা বা ৫ হাজার ডলার সমপরিমাণ অর্থ পাঠালে ওই দেশে আয়ের উৎসসহ কিছু কাগজ দিতে হয়। এখন সেসব শর্ত শিথিল করা হলো।
প্রণোদনার পর থেকে রেমিট্যান্স আসা বেড়েছে। করোনার এ সময়েও চলতি অর্থবছরের পাঁচ মাসে রেমিট্যান্স এসেছে এক হাজার ৯০ কোটি ডলার। আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় যা ৪১ দশমিক ৩২ শতাংশ বেশি। গত অর্থবছর রেমিট্যান্সে প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ১০ দশমিক ৮৭ শতাংশ।