নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডের দুঃস্বপ্ন ভুলে পরের ম্যাচে লড়াই করেছে বাংলাদেশ। সুযোগগুলো কাজে লাগাতে পারলে হয়তো পাওয়া যেত অনির্বচনীয় জয়ের স্বাদ। তা হয়নি, তবে এই ম্যাচে লড়াইয়ের পুঁজি গড়ে দেওয়া তামিম ইকবাল ও মোহাম্মদ মিঠুনের পারফরম্যান্সের প্রতিফলন পড়েছে র্যাঙ্কিংয়ে। আইসিসি ওয়ানডে ব্যাটসম্যানদের র্যাঙ্কিংয়ে উন্নতি হয়েছে এই দুই ব্যাটসম্যানের।
প্রথম ওয়ানডেতে ৮ উইকেটে হারের ম্যাচে বাংলাদেশের নেই কোনো প্রাপ্তি। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ফিফটির সুবাদে সাপ্তাহিক আপডেটে কিছুটা এগিয়েছেন তামিম ইকবাল ও মোহাম্মদ মিঠুন।
৭৮ রানের ইনিংসের হাত ধরে তিন ধাপ এগিয়ে ১৯তম স্থানে উঠে এসেছেন তামিম। বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে র্যাঙ্কিংয়ে তার চেয়ে এগিয়ে কেবল মুশফিকুর রহিম। দুই ধাপ পিছিয়ে তিনি আছেন ১৭তম স্থানে।
ক্যারিয়ার সেরা অপরাজিত ৭৩ রানের ইনিংসে ১২ ধাপ এগিয়েছেন মিঠুন। এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান ৯৪ থেকে উঠে এসেছেন ৮২তম স্থানে।
বোলারদের র্যাঙ্কিংয়ে চার নম্বর স্থান ধরে রেখেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। তবে কমেছে রেটিং পয়েন্ট। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের পর ছিল ৬৯৪, এখন হয়েছে ৬৭৮। ৬৩৬ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে ১১ নম্বরে রয়েছেন বাঁহাতি পেসার মুস্তাফিজুর রহমান।
অ্যাডাম জ্যাম্পার সঙ্গে যৌথভাবে ১৪ নম্বরে আছেন সাকিব আল হাসান। সেরা বিশে বাংলাদেশের প্রতিনিধি এই তিন জনই।
বাংলাদেশের বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচে অপরাজিত সেঞ্চুরিতে দলকে জেতানো নিউ জিল্যান্ডের কিপার-ব্যাটসম্যান টম ল্যাথাম ক্যারিয়ার সেরা ৬৩১ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে উঠে এসেছেন ৩০তম স্থানে। কেন উইলিয়ামসনের অনুপস্থিতিতে দলকে নেতৃত্ব দেওয়া ল্যাথাম প্রথম ম্যাচে পাননি ব্যাটিং।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বিস্ফোরক ইনিংসে আইসিসি টি-টোয়েন্টি ব্যাটসম্যানদের র্যাঙ্কিংয়ে একধাপ এগিয়েছেন ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি। আর বোলারদের শীর্ষস্থান হারিয়েছেন রশিদ খান।
সফরকারীদের বিপক্ষে সিরিজ নির্ধারণী পঞ্চম টি-টোয়েন্টিতে ওপেনিংয়ে নেমে কোহলি ৫২ বলে খেলেন ৮০ রানের ঝড়ো ইনিংস। রোহিত শর্মার সঙ্গে তার ৯৪ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়ে দেয় ৩৬ রানে জয়ের ভিত।
৭৬২ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে র্যাঙ্কিংয়ে এক ধাপ এগিয়ে চারে আছেন কোহলি। ৭৪৩ পয়েন্ট নিয়ে পাঁচে নেমে গেছেন রাহুল। প্রথম তিনটি স্থানে আছেন দাভিদ মালান, অ্যারন ফিঞ্চ ও বাবর আজম।
সেই ম্যাচেই ৩৪ বলে ৬৪ রানের ইনিংসে তিন ধাপ এগিয়ে ১৪ নম্বরে উঠে এসেছেন রোহিত। পাঁচ ধাপ এগিয়ে ক্যারিয়ার সেরা ২৬তম স্থানে উঠেছেন শ্রেয়াস আইয়ার। ৩২ বলে ৫৭ রানের ইনিংসে তলানি থেকে ৬৬তম স্থানে উঠেছেন সূর্যকুমার যাদব আর ১১ ধাপ এগিয়ে ৬৯তম স্থানে ইশান কিষান।
৩-২ ব্যবধানে হেরে যাওয়া সিরিজের শেষ ম্যাচে ৬৮ রানের ইনিংস খেলা মালান অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক ফিঞ্চের চেয়ে বেশ এগিয়ে ধরে রেখেছেন শীর্ষস্থান।
জিম্বাবুয়েকে হোয়াইটওয়াশ করা তিন ম্যাচের সিরিজে আফগানিস্তানের প্রাপ্তি অনেক। তবে এর মধ্যেও একটু আক্ষেপ থাকছে রশিদ খানের। ওভার প্রতি ৭.৬০ গড়ে রান দিয়ে নিয়েছেন ৬ উইকেট। এই পারফরম্যান্সেই হারিয়েছেন শীর্ষস্থান। তাকে টপকে গেছেন দক্ষিণ আফ্রিকান বাঁহাতি রিস্ট স্পিনার শামসি। ক্যারিয়ারে এই প্রথম র্যাঙ্কিংয়ের চূড়ায় উঠলেন তিনি।
পাকিস্তান সিরিজের পর রশিদ খানের চেয়ে কেবল ৩ পয়েন্টে পিছিয়ে ছিলেন শামসি। এখন এগিয়ে গেছেন ১৪ পয়েন্টে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজে রশিদ হারিয়েছেন ১৭ পয়েন্ট। শামসির পয়েন্ট ৭৩৩, রশিদের ৭১৯।
২০১৮ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে র্যাঙ্কিংয়ের চূড়ায় ছিলেন রশিদ খান। গত বছরের মার্চে কেবল দুই দিনের জন্য নেমেছিলেন নিচে।
এক ধাপ এগিয়ে চার নম্বরে উঠে এসেছেন ইংলিশ লেগ স্পিনার আদিল রশিদ। জফ্রা আর্চার ও মার্ক উড এগিয়েছেন ১২ ধাপ করে। আর্চার ২২ ও উড ২৭ নম্বরে আছেন।
১৬ ধাপ এগিয়ে ব্যাটসম্যানদের র্যাঙ্কিংয়ে ক্যারিয়ার সেরা ২১তম স্থানে উঠে এসেছেন রহমানউল্লাহ গুরবাজ। এছাড়াও র্যাঙ্কিংয়ে উন্নতি হয়েছে আফগানিস্তানের নাজিবউল্লাহ জাদরান, অধিনায়ক আসগর আফগান ও উসমান গনির।