শ্রীলঙ্কা যখন সোমবার অনুশীলন করছে মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে, বাংলাদেশ তখন চট্টগ্রামে। এ দিন তাই মাহমুদুল হাসান জয় ও শরিফুল ইসলামের সঙ্গে দেখা হয়নি নাভিদ নওয়াজের। তবে প্রসঙ্গটা উঠে এলো ঠিকই। হাসিমুখে নওয়াজ বললেন, “ওরা দুজন নিশ্চয়ই আমাকে দেখলে খুশিই হবে!”
তাদের দেখাও হয়ে যাবে শিগগিরই। দুই দিনের প্রস্তুতি ম্যাচ শেষ করে বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামে যাবে শ্রীলঙ্কা দল। গুরু-শিষ্যর পুনর্মিলনীতে অনেক পুরনো স্মৃতিও উঠে আসবে নিশ্চিত। এমনিতে জয় ও শরিফুলকে নতুন করে দেখার তার কিছু নেই। দুজনের প্রতিভা, সামর্থ্য আর স্কিলের কথা তিনি জানেন। দুই তরুণ যে আজ বাংলাদেশ জাতীয় দলে খেলছেন, সেই পথে তাদের এগিয়ে যাওয়া নওয়াজের হাত ধরেই।
বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের কোচ থাকার সময় নওয়াজই নিবিড়ভাবে গড়ে দিয়েছেন জয়-শরিফুলদের বড় হয়ে ওঠার ভিত। তার কোচিংয়েই তাদের কুঁড়ি থেকে ফুল হয়ে ওঠার শুরু। ২০২০ সালে যুব বিশ্বকাপে বাংলাদেশের শিরোপা জয়ের পর জয়-শরিফুলরা এগিয়ে যান ক্যারিয়ারের নতুন ধাপে। নওয়াজ ব্যস্ত হয়ে পড়েন বাংলাদেশের পরের বিশ্বকাপের যুব দল নিয়ে।
বাংলাদেশে দুটি যুব বিশ্বকাপে কোচিং করিয়ে নওয়াজ এখন শ্রীলঙ্কা জাতীয় দলের সহকারী কোচ। লঙ্কানদের সঙ্গেই তিনি এসেছেন বাংলাদেশে। তার পুরনো দুই শিষ্য এখন প্রতিপক্ষ। শরিফুল তো সব সংস্করণেই বাংলাদেশ দলের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে ওঠার পথে। মাহমুদুলের টেস্ট ক্রিকেটে শুরুটা হয়েছে দারুণ। নিউ জিল্যান্ড সফরে দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেছেন তিনি, দক্ষিণ আফ্রিকায় করেছেন অসাধারণ সেঞ্চুরি।
এসব কেবলই শুরু। নওয়াজ সোমবার সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বললেন, বাংলাদেশের ক্রিকেটে একদিন মহীরূহ হয়ে উঠবে এই দুই তরুণ ক্রিকেটার।
“আমি এখন অন্য দলের ড্রেসিং রুমে থাকতে পারি, তবে ওদের স্কিল আছে যে কোনো পরিস্থিতি সামলানোর। আমি এখন কোথায়, এতে কিছু যায়-আসে না। ওরা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এর মধ্যেই সাফল্য পেয়েছে এবং ভবিষ্যতেও অনেক দেশে সফর করবে, অনেক পরিস্থিতি ও কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে ক্রিকেট খেলতে হবে।”
“আমি মনে করি, ওরা দুজনই দুর্দান্ত ক্রিকেটার। একদিন ওরা বাংলাদেশ ক্রিকেটের কিংবদন্তি হবে। ওরা এতটাই ভালো। অনেক দিন ওদের সঙ্গে দেখা হয় না। আমাকে দেখে নিশ্চয়ই খুশিই হবে!”