জাতীয়

শীতে চুলের ক্ষয় রোধে করণীয়

চুলের ক্ষয় শীতকালে বেশি হয়, কারণ বাতাসে আর্দ্রতা নাহি রয়।

শীতের সময় ত্বকের যত্নের দিকে মনোযোগ যায় বেশি। তবে শীতল শুষ্ক আবহাওয়াতে চুল রক্ষ হয়ে আগা ফাটার সমস্যা দেখা দেয়।

তাই ত্বকের পাশাপাশি চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে শীতকালে আরও বেশি মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন।

আর্দ্রতা রক্ষাকারী উপকরণ ব্যবহার

সবচেয়ে সাধারণ উপায় হল আর্দ্রতা রক্ষাকারি শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার ব্যবহার করা।

এ বিষয়ে ওয়েলঅ্যান্ডগুড ডটকমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে রূপবিশেষজ্ঞ ‘ইউনিভার্সিটি অফ শিকাগো’র চর্ম-বিজ্ঞান বিভাগের বিশেষজ্ঞ ডা. ভিক্টোরিয়া বারবোসা বলেন, “চুলের আর্দ্রতা ঠিক রাখতে আবহাওয়া ও চুলের ধরন অনুযায়ী প্রসাধনী ব্যবহার করুন।”

শীতকালীন পণ্য ক্রয়ের ক্ষেত্রে তাতে কোলাজেন, সিল্ক প্রোটিন ও হায়ালুরনিক অ্যাসিড আছে কিনা দেখে নিন।

ঘন ঘন চুল না ধোয়া

মাথার ত্বকের চুলকানি ও শুষ্কতা দূর করতে প্রতি নিয়ত শ্যাম্পু করা থেকে বিরত থাকতে হবে। শীতকালে মাথার ত্বকে ঘাম কম হয় এবং অনেকক্ষণ চুল না ধুয়েও থাকা যায়।

শ্যাম্পু মাথার ত্বক পরিষ্কার রাখে ঠিকই তবে প্রাকৃতিক তেল শুষে নেয়। যা চুলের আর্দ্রতা হারায়।

ডিপ কন্ডিশনিং মাস্ক

শীতকালে সপ্তাহে একবার ‘ডিপ কন্ডিশনিং হেয়ার মাস্ক’ ব্যবহার করতে হবে। আর্গন তেল সমৃদ্ধ মাস্ক চুলকে আর্দ্র ও মসৃণ রাখতে সহায়তা করে।

আর্দ্রতার পাশাপাশি চুলের উজ্জ্বলতা ধরে রাখতে সহায়তা করে। সাধারণ কন্ডিশনারের চেয়ে হেয়ার মাস্ক চুলকে বেশি মসৃণ ও কোমল রাখতে পারে।

নিয়মিত তেল ব্যবহার

শীতকালেও মাথার ত্বকে তেল মালিশ করা প্রয়োজন। এটা মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বাড়ায় ফলে চুল দ্রুত বাড়ে।

তেল ব্যবহার করতে না চাইলে তেল ধর্মী ‘লিভ-ইন কন্ডিশনার’ বা সেরাম ব্যবহার করা যেতে পারে। এগুলো চুলের আর্দ্রতা ধরে রাখে ও জট পড়া এড়াতে সহায়তা করে।

‘স্টাইলিং টুলস’ কম ব্যবহার করা

তাপীয় যন্ত্র যেমন- ‘কার্লার’ ও ‘স্ট্রেইটনার’ কম ব্যবহার করতে হবে। এগুলো চুলকে রুক্ষ করে দেয়।

বাতাসে চুল শুকানো ভালো। তবে শীতল বাতাসে চুল শুকানো না গেলে কম তাপে ড্রায়ার ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে আগে অবশ্যই তাপ সুরক্ষক প্রসাধনী ব্যবহার করে নিতে হবে চুলে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *