জাতীয়

সরকারি কর্ম কমিশনের সদস্য বাড়ানোর সুপারিশ

বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের সদস্য সংখ্যা ১৫ জন থেকে বাড়িয়ে ২০ জন করার সুপারিশ করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। এছাড়াও তারা কর্মকমিশন সচিবালয় গঠনের বিষয়টি আইনি কাঠামোতে অন্তর্ভুক্ত এবং আইনের অধীনে বিধিমালা প্রণয়নের বিধান যুক্ত করার কথাও বলেছে।

বুধবার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত কমিটির বৈঠকে এ সুপারিশ করা হয়। ‘বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন বিল ২০২২’ নিয়ে আলোচনা করেন কমিটির সদস্যরা। তারা এসব নতুন বিধানযুক্তসহ প্রয়োজনীয় সংশোধন, সংযোজন ও পরিমার্জন করে এই বিলের বিষয়ে জাতীয় সংসদে চূড়ান্ত রিপোর্ট প্রণয়নের সুপারিশ করেছে।

কমিটির সভাপতি এইচএন আশিকুর রহমানের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য ও জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, আ স ম ফিরোজ, র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, দীপংকর তালুকদার, পনির উদ্দিন আহমেদ, ফেরদৌসী ইসলাম এবং মোকাব্বির খান অংশ নেন।

আইনে প্রস্তাবিত ১৫ জন সদস্যের স্থলে ২০ জন করার যৌক্তিকতা তুলে ধরে সংসদীয় কমিটি বলেছে, সরকারি কর্মকমিশনের ১২ গ্রেড ও তদূর্ধ্ব (ক্যাডার ও নন-ক্যাডার) পদে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। এ কারণে প্রাক-বাছাই, লিখিত পরীক্ষা, মৌখিক পরীক্ষা এবং প্রযোজ্য ক্ষেত্রে ব্যাবহারিক পরীক্ষা গ্রহণ, ফলাফল প্রস্তুত ও প্রকাশে দীর্ঘ সময় লেগে যায়।

এছাড়াও এর পাশাপাশি নিয়োগবিধি ও কর্মের শর্তাবলি প্রভৃতি বিষয়ে কমিশন পরামর্শ দিয়ে থাকে। বিদ্যমান সদস্যদের পক্ষে যথাসময়ে পরামর্শ দেওয়া প্রায়ই সম্ভব হয় না। একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এবং বাংলাদেশ সংবিধান কর্তৃক অর্পিত দায়িত্ব যথাসময়ে সম্পাদনের জন্য কমিশনের সদস্য সংখ্যা বাড়ানো প্রয়োজন বলে তারা মত দেন।

কমিশন সচিবালয় গঠনের বিষয়টি আইনি কাঠামো থেকে আনার যুক্তি হিসাবে কমিটি বলেছে, কমিশন সচিবালয়ের মাধ্যমে যাবতীয় সাচিবিক কাজ সম্পন্ন হয়ে থাকে। কিন্তু কমিশন সচিবালয় প্রতিষ্ঠা সম্পর্কিত কোনো বিষয় আইনে উল্লে­খ না থাকায় কর্মসম্পাদনে সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। এ অবস্থায় কমিশন সচিবালয় প্রতিষ্ঠার বিষয়টি আইনে অন্তর্ভুক্ত করা প্রয়োজন বলে মনে করে সংসদীয় কমিটি।

সংসদীয় কমিটি সংসদে উত্থাপিত আইনে নতুন একটি ধারা (১৯) যুক্ত করে আইন ও বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা দেওয়ার কথা বলেছে। তারা বলেছে, আইনের ব্যাখ্যা, কমিশনের দায়িত্ব ও কর্তব্য যথাযথভাবে পালনের জন্য বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা আইনে অন্তর্ভুক্ত করা প্রয়োজন।

এদিকে বৈঠকে জমির মৌজা রেট নির্ধারণে দলিলের গড় মূল্যের ওপর ভিত্তি না করে সরেজমিন পরিদর্শন করে গুচ্ছভিত্তিক জমির মূল্য নির্ধারণের বিষয়ে মন্ত্রণালয় থেকে যে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে, তা সংসদীয় কমিটির আগামী বৈঠকে উপস্থাপনের সুপারিশ করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *