খেলাধুলা

সিরিজ জয়ের জন্য ‘ফাইনালের’ অপেক্ষা

দক্ষিণ আফ্রিকায় মাত্র একটি জয় পেতে অপেক্ষা করতে হয়েছে ২০ বছর। দীর্ঘ অপেক্ষার পর চলতি সফরে আফ্রিকার মাঠে স্বাগতিকদের বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয় পেল বাংলাদেশ দল।

শুধু বছরের হিসাবেই নয়, আফ্রিকার মাঠে স্বাগতিকদের বিপক্ষে জয় পেতে খেলতে হয়েছে ২০ ম্যাচ। বিশ ম্যাচ পর অধরা সেই জয়ের দেখা পেল টাইগাররা। এখন অপেক্ষা সিরিজ জয়ের। কাঙ্ক্ষিত সেই জয় কবে ধরা দেবে তা সময়ই বলে দেবে।

শুক্রবার সেঞ্চুরিয়নে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে জয়ের পর থেকেই সিরিজ জয়ের স্বপ্নে বিভোর টাইগাররা।

রোববার জোহানেসবার্গে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে জয়ের টার্গেটে ব্যাটিংয়ে নেমে চরম বিপর্যয়ে পড়ে যায় তামিম ইকবালের নেতৃত্বাধীন দলটি।

১২.৪ ওভারে মাত্র ৩৪ রানেই টপঅর্ডার ৫ ব্যাটসম্যান তামিম ইকবাল, সাকিব আল হাসান, লিটন দাস, ইয়াসির আলী ও মুশফিকুর রহিমের উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে কার্যত ছিটকে যায় বাংলাদেশ দল।

দলের এমন কঠিন মুহূর্তে হাল ধরেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও আফিফ হোসেন। এই জুটি স্কোর বোর্ডে জমা করে ৬০ রান। এরপর মেহেদি হাসান মিরাজকে সঙ্গে নিয়ে ৮৭ রানের জুটি গড়েন আফিফ। তাদের এই জুটিতেই দুইশ ছাড়িয়ে আড়াইশর কাছাকাছি রান সংগ্রহের সম্ভাবনা তৈরি হয়।

কিন্তু কাগিসো রাবাদার করা ৪৬তম ওভারের তৃতীয় ও পঞ্চম বলে দুই সেট ব্যাটসম্যান আফিফ ও মিরাজ আউট হওয়ার পর লেজের ব্যাটসম্যানরা দলকে সেভাবে টানতে পারেননি। যে কারণে ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৯৪ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ।

সহজ টার্গেট তাড়ায় কুইন্টন ডি কক ও কাইল ভারানির অনবদ্য ব্যাটিংয়ে ৭৬ বল হাতে রেখেই ৭ উইকেটের জয় নিশ্চিত করে দক্ষিণ আফ্রিকা। দলের জয়ে ৬২ ও ৫৮ রান করেন ডি কক ও ভারানি।

সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে বুধবার সেঞ্চুরিয়নে। অঘোষিত সেই ‘ফাইনালে’ যে দল নিজেদের সেরাটা উজাড় করে দিতে পারবে তারাই সিরিজ জিতবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *