আন্তর্জাতিক

সিরিয়া সংকটে যুক্তরাষ্ট্র-ইসরাইল যেন সুযোগ নিতে না পারে

ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান বলেছেন, সিরিয়ার সংকটের বিষয়ে মুসলিম দেশগুলোকেই ব্যবস্থা নিতে।

দেশটিতে তাকফিরি সন্ত্রাসীদের পুনরুত্থানের পর তিনি যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরাইল যেন এই পরিস্থিতিতে কোনো সুযোগ নিতে না পারে এবং তাদের শোষণের প্রচেষ্টা প্রতিরোধের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়েছেন।

রোববার ইরানের পার্লামেন্টের একটি পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে ভাষণ দেওয়ার সময় মাসুদ পেজেশকিয়ান সিরিয়ার সাম্প্রতিক উন্নয়ন এবং আলেপ্পো ও ইদলিবসহ উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশগুলোতে সিরিয়ার সামরিক বাহিনী ও বিদেশি সমর্থিত তাকফিরি সন্ত্রাসীদের মধ্যে চলমান সংঘর্ষের বিষয়ে এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করি, মুসলিম দেশগুলো এতে হস্তক্ষেপ করবে এবং এই দেশের অভ্যন্তরীণ সংঘাতে আমেরিকা ও ইসরাইলকে সুযোগ নিতে দেব না’।

পেজেশকিয়ান বলেন, তাকফিরি সন্ত্রাসীদের আক্রমণ আমেরিকা এবং ইউরোপীয় দেশগুলোর সমর্থন পেয়েছে। এই কর্মকাণ্ডগুলো আমেরিকা ও ইউরোপীয় অস্ত্র ব্যবহার করেই পরিচালিত হচ্ছে।

বুধবার থেকে হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস) এবং তাদের মিত্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলো আলেপ্পো অঞ্চলে প্রবেশ করে কিছু এলাকা দখল করেছে। সিরিয়ার সরকার ও জনপ্রিয় বাহিনীর সঙ্গে তাদের তীব্র সংঘর্ষ চলছে। সিরিয়ার সেনাবাহিনী রুশ বিমান বাহিনীর সহায়তায় এই সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে পালটা অভিযান পরিচালনা করছে।

সিরিয়ার সংকট

২০১১ সালের মার্চ থেকে সিরিয়া বিদেশি সমর্থিত সহিংসতায় জর্জরিত। দামেস্ক দাবি করে আসছে, পশ্চিমা দেশগুলো এবং তাদের আঞ্চলিক মিত্ররা সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোকে সমর্থন দিচ্ছে, যা আরব দেশটিতে ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে।

গাজা ও লেবাননে ইসরাইলি আগ্রাসন

পেজেশকিয়ান পশ্চিমা-সমর্থিত ইসরাইলি কর্মকাণ্ডের নিন্দা জানিয়েছেন। বিশেষত গাজা উপত্যকা এবং দক্ষিণ লেবাননে ইসরাইলের কর্মকাণ্ডের বিষয়ে।

তিনি বলেন, আমরা যুদ্ধ এবং রক্তপাত চাই না। যারা যুদ্ধ ও রক্তপাত ঘটায়, তারাই নিজেদের শান্তি ও মানবাধিকারের সমর্থক বলে দাবি করে।

তিনি আরও বলেন, গাজা এবং লেবাননের যুদ্ধ চলাকালীন ইসরাইলি বাহিনী ১০ হাজার শিশু হত্যা করেছে এবং তথাকথিত মানবাধিকারের সমর্থকরা কেবল নীরব দর্শক হয়ে রয়েছে। এটি একটি লজ্জাজনক আচরণ।

পশ্চিমা দেশগুলোর দ্বিচারিতা

পেজেশকিয়ান জোর দিয়ে বলেছেন, গাজা এবং লেবাননে যে ‘ন্যক্কারজনক’ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তা যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় দেশগুলোর সমর্থন ও অস্ত্র সরবরাহের ফল।

তিনি বিশ্বব্যাপী মুসলিম দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় একত্রিত হওয়া এবং সিরিয়া ও ফিলিস্তিনের মতো ইসলামি দেশগুলোর প্রতি সমর্থন জানানো অত্যন্ত জরুরি। সূত্র: মেহের নিউজ এজেন্সি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *