খেলাধুলা

সুপার ফোরে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ কারা

আফগানিস্তানের বিপক্ষে শ্রীলংকার জয়ে দুশ্চিন্তা কেটে গেল বাংলাদেশের। টাইগারদের সঙ্গে নিয়েই এশিয়া কাপের সুপার ফোরে চলে গেল শ্রীলংকা ক্রিকেট দল।

টুর্নামেন্টে অসাধারণ ক্রিকেট খেলেও টানা দুই ম্যাচে বাংলাদেশ ও শ্রীলংকার বিপক্ষে হেরে আসর থেকে বিদায় নিল আফগানিস্তান ক্রিকেট দল।

শনিবার থেকে শুরু হবে সুপার ফোরের খেলা। সুপার ফোরের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ শ্রীলংকা। ২৪ সেপ্টেম্বর নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে ভারতের মুখোমুখি হবে টাইগাররা। ২৫ সেপ্টেম্বর সুপার ফোরে বাংলাদেশ নিজেদের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে পাকিস্তানের মুখোমুখি হবে।

সুপার ফোরের সূচি

১. বাংলাদেশ-শ্রীলংকা, ২০ সেপ্টেম্বর, দুবাই।

২. ভারত-পাকিস্তান, ২১ সেপ্টেম্বর, দুবাই।

৩. পাকিস্তান-শ্রীলংকা, ২৩ সেপ্টেম্বর, আবু ধাবি।

৪. বাংলাদেশ-ভারত, ২৪ সেপ্টেম্বর, দুবাই।

৫. বাংলাদেশ-পাকিস্তান, ২৫ সেপ্টেম্বর, দুবাই।

৬. ভারত-শ্রীলংকা, ২৬ সেপ্টেম্বর, দুবাই।

আফগানদের স্বপ্ন ভেঙে বাংলাদেশকে সুপার ফোরে তুললো শ্রীলঙ্কা

অবশেষে মিললো অপেক্ষার অবসান। ভাগ্য যেন বারবার পরীক্ষায় ফেলছিল বাংলাদেশকে।

গ্রুপ পর্বে তিন ম্যাচ খেলে দুই জয় ও এক হার। সরাসরি সুপার ফোর নিশ্চিত করার মতো পরিস্থিতি ছিল না লিটন দাসের দলের। তাকিয়ে থাকতে হয়েছিল আফগানিস্তান-শ্রীলঙ্কা ম্যাচের ফলাফলের দিকে। আবু ধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে সেই ম্যাচ শেষে হাসি ফুটলো বাংলাদেশি ক্রিকেটপ্রেমীদের মুখে।
আফগানিস্তানকে ৬ উইকেটে হারিয়ে সুপার ফোর নিশ্চিত করলো শ্রীলঙ্কা। এই জয়েই বাংলাদেশেরও কপাল খুলে গেল।

আফগানদের দেয়া ১৭০ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতে চাপে পড়ে লঙ্কানরা। দ্রুত ফিরলেন ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কা (৬) ও টপ অর্ডার ব্যাটার কামিল মিশারা (৪)। তবে একপ্রান্ত আগলে রেখে দলকে এগিয়ে নিয়ে যান কুশাল মেন্ডিস। দারুণ সব ড্রাইভ, কাট আর স্কোয়ার শটে দলকে টেনে নেন তিনি। ৫২ বলে ১০ বাউন্ডারিতে খেলেন অপরাজিত ৭৪ রানের ম্যাচ উইনিং ইনিংস।

তাকে সঙ্গ দেন কুশাল পেরেরা (২৮), অধিনায়ক আসালঙ্কা (১৭) এবং শেষে ঝড় তোলেন কামিন্দু মেন্ডিস (১৩ বলে অপরাজিত ২৬)। ফলে ১৮.৪ ওভারেই জয় নিশ্চিত করে শ্রীলঙ্কা।

এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে আফগানিস্তানের শুরুটা বেশ নড়বড়ে ছিল। রাহমানউল্লাহ গুরবাজ (১৪) ও সেদিকুল্লাহ আতল (১৮) কিছুটা ছন্দ দেখালেও নিয়মিত বিরতিতেই পড়তে থাকে উইকেট।

মাঝের দিকে ইব্রাহিম জাদরান (২৪) এবং রশিদ খান (২৪) চেষ্টা করলেও লঙ্কান বোলারদের সামনে বড় কিছু করতে পারেননি। তবে এক প্রান্ত থেকে ঝড় তুললেন অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার মোহাম্মদ নবী। মাত্র ২২ বলে ৩ চার ও ৬ ছক্কায় খেললেন বিধ্বংসী ৬০ রানের ইনিংস। নবীর ব্যাটে ভর করেই ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৬৯ রান তোলে আফগানিস্তান।

শ্রীলঙ্কার বোলারদের মধ্যে নুয়ান তুষারা ছিলেন অসাধারণ। নিখুঁত ইয়র্কারের ৪ ওভারে মাত্র ১৮ রান দিয়ে তুলে নেন ৪ উইকেট।

চারিথ আশালাঙ্কার দলের এই জয়ে গ্রুপ ‘বি’ থেকে সুপার ফোরে জায়গা করে নিলো শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশ। কঠিন লড়াই করেও দুই ম্যাচ হেরে বিদায় নিতে হলো রশিদ খানের আফগানিস্তানকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *