গত সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচিত গণফোরামের সংসদ সদস্য সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদ এখন বিএনপিকে রাজনৈতিক দলই মনে করছেন না।
তিনি রোববার সংসদে বলেছেন, “বিএনপি হচ্ছে নো পার্টি, এটা একটি প্ল্যাটফর্ম। তাদের কোনো রাজনৈতিক দর্শন নেই।
“তাদের দর্শন হচ্ছে সরকার, ভারতের বিরুদ্ধে কথা বলা। তাদের রাজনৈতিক দর্শন হচ্ছে ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে কীভাবে পাকিস্তানের বন্ধুদের খুশি রাখার ভূমিকা রাখা যায়। সেটি হলো এই রাজনৈতিক দলের উদ্দেশ্য। কিন্তু সেটা এই দেশে কোন দিন ফলবে না।”
রোববার জাতীয় সংসদে ২০২২-২৩ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে সাধারণ আলোচনার জন্য দাঁড়িয়ে একথা বলেন তিনি।
ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি, আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সুলতান মনসুর ২০০৭ সালে জরুরি অবস্থা জারির পর ‘সংস্কারপন্থি’ হিসেবে চিহ্নিত হয়ে দলে অপাঙক্তেয় হয়ে পড়েন।
২০১৮ সালে একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে কামাল হোসেনের গণফোরামে নাম লিখিয়ে তিনি ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে মৌলভীবাজার-২ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
ওই নির্বাচনের আগে বিএনপির নেতৃত্বে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠিত হয়েছিল, আর এই জোটভুক্ত দলগুলোর অধিকাংশ নেতা বিএনপির প্রতীকেই প্রার্থী হয়েছিলেন।
শপথ নেওয়ার পর সুলতান মনসুরকে গণফোরাম থেকে বহিষ্কার
রোববার উল্টো সুর তোলা সুলতান মনসুর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন, “এই দলের কোনো নেতৃত্ব নেই। বাছুররা এই দেশে আসতেও পারবে না, তাদের হাতে বাংলাদেশে ক্ষমতায় যাওয়ার সুযোগ থাকবে না।”
বন্যায় সরকার কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না- বিএনপির এই সমালোচনার দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, “সরকারের সক্রিয়তা না থাকলে সামরিক বাহিনী, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, প্রশাসনযন্ত্র কীভাবে মানুষের সেবায় কাজ করল?
“শুধু বিরোধিতার খাতিরে বিরোধিতা নয়। ভারত বিরোধিতা করে, শেখ হাসিনাকে বিরোধিতা করে, সরকার বিরোধিতা করে রাজনীতি কোনো দিন হতে পারে না।”
নিজের রাজনৈতিক অবস্থান ব্যাখ্যা করে সুলতান মনসুর বলেন, “পদ্মা, মেঘনা, যমুনা তোমার আমার ঠিকানা- এই স্লোগানকে ধারণ করে যে রাজনৈতিক কর্মী হিসাবে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে জীবন শুরু করেছিলাম। সেই পদ্মায় শনিবার সেতু উদ্বোধন করেছেন। বিশ্বর মধ্যে প্রথম খরস্রোতা নদীর মধ্যে পদ্মা সেতু।
“এই সংসদে বলেছিলাম, জাতির পিতাকে যারা মেনে নেবে, তারাই শুধু রাজনীতি করতে পারবে, ক্ষমতায় যাওয়া সুযোগ থাকবে। তাছাড়া কোনো সুযোগ থাকবে না।”