জাতীয়

সোহ্‌রাওয়ার্দী উদ্যানে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য হবেই

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য হবেই বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের বহু স্থানে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কিত ভাস্কর্য রয়েছে।

এসব ভাস্কর্য আমাদের সংস্কৃতির অংশ। বর্তমান সরকার অত্যন্ত সক্ষম সরকার। কারো বিরোধিতায় ভাস্কর্য নির্মাণ বন্ধ হবে না।

বুধবার (১৮ নভেম্বর) নারায়ণগঞ্জে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত এম ভি ইকরাম জাহাজ পরিদর্শন শেষে ধোলাইখালে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নির্মাণে একটি গোষ্ঠীর বিরোধিতা নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী একথা বলেন।

রাজধানীতে মৌলবাদী শক্তি বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নির্মাণে বাধার সৃষ্টি করছে- এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, অনেকেই অনেক কিছু বলে। এগুলো আমলে নেওয়ার মতো না। রাস্তাঘাটে এখানে সেখানে কারো কোনো কথা আমলে নেওয়ার প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করি না। বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য হবেই। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী কীভাবে আত্মসমর্পণ করেছে সেটা নির্মিত হবে। সারাদেশেই অসংখ্য ভাস্কর্য রয়েছে। এটাতো নতুন কিছু না।

এম ভি ইকরাম সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, নৌ-কমান্ডো বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বের সাক্ষ্য এম ভি ইকরাম জাহাজকে আন্তর্জাতিকমানের মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে রূপান্তর করা হবে। এজন্য উপযুক্ত স্থান নির্ধারণ ও ডিজাইন করার জন্য কারিগরি টিম গঠন করা হচ্ছে। মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রতিটি স্মৃতিচিহ্ন সরকার সংরক্ষণ করবে।

যুদ্ধ জাহাজ পরিদর্শন শেষে গণমাধ্যমের প্রশ্নের জবাবে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি বিজড়িত জাহাজটি সংস্কার করে ভালো একটি স্থানে রাখা হবে। এই জাহাজটি আমাদের একটি নির্দশন। জাহাজটি সংরক্ষণের জন্য দু’টি জায়গা পছন্দ করা হয়েছে। একটি হলো মাদারীপুরের এসপিটিআই প্রশিক্ষণকেন্দ্র ও অপরটি চাঁদপুরের নদীবন্দরের পাশে। যুদ্ধজাহাজটি এমনভাবে সংরক্ষণ করা হবে যাতে মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে নেভাল কমান্ডোর ইতিহাস সারা বিশ্বের মানুষ জানতে পারে।

সাবেক নৌপরিবহন মন্ত্রী শাহজাহান খান বলেন, একুশে ফেব্রুয়ারিসহ মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত অনেক ভাস্কর্য রয়েছে কিন্তু সেগুলো নিয়ে প্রশ্ন না তুলে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নিয়ে আপত্তি করাটা প্রশ্নবিদ্ধ। আমরা বাঙালিরা একটু আবেগী। আমি মনে করি বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য বন্ধ করার যে দাবি তারা তুলেছে সেটার পিছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য আছে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক, নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সেলিম রেজা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সার্কেল মেহেদী ইমরান সিদ্দিকী, সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদা বারিক, বিআইডব্লিউটিএর পরিচালক কাজী ওয়াকিল নওয়াজ, নারায়ণগঞ্জ নদীবন্দরের যুগ্ম পরিচালক শেখ মাসুদ কামাল, উপ-পরিচালক মোবারক হোসেন, নারায়ণগঞ্জ নৌ-থানার ওসি শহীদুল ইসলাম প্রমুখ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *