খেলাধুলা

হংকংকে উড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশের মেয়েরা

হোক সেটা প্রীতি ম্যাচ। হংকং তো কম শক্তিশালী দল না। তাদের বিপক্ষে বাংলাদেশ হারবে এমন আশংকাই ছিল সাবিনা, সানজিদা, তহুরাদের নিয়ে। কারণ সবদিক হতেই হংকংয়ের চেয়ে বাংলাদেশ অনেক পিছিয়ে। সেই বাংলাদেশ ৫-০ গোলে হংকংকে হারিয়েছে। উজবেকিস্তানের তাসখন্দে জেএআর একাডেমী মাঠে অনুষ্ঠিত খেলায় সাবিনা চার গোল করেন, সঙ্গে তহুরার একটি।

হংকংকে হারিয়েছে বললেও কম হয়ে যায়। হংকংকে উড়িয়েই দিয়েছে বাংলার নারী ফুটবলাররা। ফিফার নারী ফুটবলে বাংলাদেশের র‌্যাংকিং হচ্ছে ১৩৭। আর হংকং আছে ৭৬ নম্বরে। ৬১ ধাপ পিছিয়ে বাংলাদেশ। এই ম্যাচটায় নামার আগে বাংলাদেশ উজবেকিস্তানের মাঠে এশিয়ান কাপ ফুটবলের গ্রুপ পর্বের দুই ম্যাচ খেলেছিল। জর্ডানের বিপক্ষে ৫-০, এবং ইরানের বিপক্ষে ৫-০ গোলে হেরে বিদায় নিয়েছিল বাংলাদেশ।

ম্যাচ হারলেও বাংলাদেশের ফুটবলাররা শক্তিশালী দলের বিপক্ষে খেলে নিজেদের অভিজ্ঞতাটা বাড়াতে পেরেছিল। অনেকেরই ধারণা ছিল হংকংয়ের বিপক্ষেও উড়ে যাবে। এই ম্যাচেও চার পাঁচ গোলে হারবে। বাংলাদেশের কোচিং স্টাফদেরও খুব একটা আশা ছিল না ম্যাচ নিয়ে। কোচ গোলাম রাব্বানী ছোটন, অধিনায়ক সাবিনা খাতুনরা ধরে নিয়েছিলেন তারা ভালো খেলবেন এবং জর্ডান ও ইরানের ম্যাচের অভিজ্ঞতা কাজে লাগাবেন। প্রমাণ মিলেছে। কঠিন ম্যাচ খেললে ধার বাড়ে। শানিত হয় পারফরম্যান্স, আত্মবিশ্বাস বাড়ে। তা হলে হংকংয়ের মতো শক্তিশালী দলের বিপক্ষে ৫ গোল পাওয়া চাট্টেখানি কথা নয়। এবারই প্রথম হংকংয়ের বিপক্ষে সিনিয়রদের দল খেলল। অধিনায়ক সাবিনা খাতুন চার গোল করেছেন। অন্য গোলটি তহুরা খাতুনের। ১৮ মিনিটে তহুরা খাতুন এবং ৪৩ মিনিটে সাবিনা খাতুনের গোলে এগিয়ে যায়। দ্বিতীয়ার্ধে গোলের বল তৈরি করে দিলে সাবিনা খাতুন টানা তিন গোল করেন, হ্যাটট্টিক করেন।

বাফুফের নারী ফুটবল কমিটির চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণ জানিয়েছেন নারী ফুটবলে এবারই প্রথম হংকংয়ের বিপক্ষে খেলল বাংলাদেশ। প্রীতি ফুটবল হলেও এই জয় একটা ইতিহাস হয়ে থাকল। তিনি জানান এর আগে হংকংয়ের মাঠে জকিকাপ ফুটবলে বাংলাদেশের নারী দল চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল সেটি ছিল বয়স ভিত্তিক ফুটবল।’ উজবেকিস্তানে গিয়েছিলেন বাফুফের সদস্য জাকির হোসেন চৌধুরী। তিনি বললেন,‘জর্ডান এবং ইরানের বিপক্ষে আমাদের মেয়েদের মেয়েরা হারলেও ভালো খেলেছে। বলতে পারেন ৫ গোল খেল কেন। আমি বলব গোল হয়েছে ছোট ছোট ভুলের কারণে। আমাদের উচিত এই মেয়েদের উৎসাহ দেয়া। দিন শেষে ওরা আমাদের ঘরেরই সন্তান।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *